ঢাকার কওমি মাদরাসায় পুলিশি অভিযান, কোরবানীর চাকু জব্দ
লালবাগ জামিয়া কুরআনিয়া ও ইসলামবাগ মাদরাসায় অভিযান
দিদার শফিক, ইসলামবাগ থেকে
ঢাকার মাদরাসাগুলো থেকে কুরবানির পশু যবেহ করার কাজে ব্যবহৃত ছুরি নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। ইতোমধ্যে ইসলামবাগ, লালবাগ জামিয়ার ছুরি নিয়ে গেছে। পুলিশের মন্তব্য হল, জননিরাপত্তা ও মাদরাসার নিরাপত্তার জন্যই আমরা ছুরিগুলো নিয়ে যাচ্ছি। যথা সময়ে আপনারা তা ফেরত পাবেন।
ছুরি নিয়ে চলে যাওয়ার পর চ্যানেল আই থেকে ইসলামবাগ মাদরাসায় সাংবাদিক আসে ইশার নামাজের সময়। চ্যানেল আই এর সংবাদকর্মী মো. আকতার হোসেন ইসলামবাগ মাদরাসার সহকারী শিক্ষক জনাব গোলাম মুস্তফার কাছে জানতে চান মাদরাসায় পুলিশ কেন এসেছিল তিনি জবাবে বলেন, পুলিশ এসে প্রথমে বলে আমরা মাদরাসা তল্লাসী করব। আমি বললাম, করুন। তারপর তারা বলে মাদরাসার কুরবানির ছুরিগুলো কোথায়? আমরা তা জমা নিয়ে যাব। জনাব গোলাম মোস্তফা বলেন, আমরা কুরবানির কাজ শেষে অফিসে ছুরি সংরক্ষিত রাখি। আবার কুরবানির সময় বের করি। পুলিশ ছুরি নিতে এসেছে আমরা ছুরি দিয়ে দিয়েছি। সাংবাদিক আকতার এক প্রশ্নে জানতে চান পুলিশ মাদরাসা তল্লাশি করেছেন কিনা জবাবে গোলাম মুস্তফা বলেন, আমরা কয়েকজন শিক্ষকসহ পুলিশের কিছু লোক মাদরাসার ভেতরে প্রবেশ করে কিছু রোম পরিদর্শন করে। বই পুস্তক ছাড়া তারা কিছু দেখতে পায়নি।
চ্যানেল আই এর লোক চলে যাওয়ার পর দুইজন পুলিশ আসে মাদরাসার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করার জন্য। একটি তথ্য ফরমে তথ্য পূরণ করে তারা চলে যান। তথ্য ফরমে আছে মাদরাসা কোন ধরণের, ছাত্রাবাসের বিবরণ, কোন শ্রেণি পর্যন্ত, পরিচালনা কমিটির সভাপতির নাম ও শিক্ষাগত যোগ্যতা, প্রিন্সিপালের নাম, পদবি, শিক্ষাগত যোগ্যতা, রাজনৈতিক মতাদর্শ, প্রিন্সিপালের গাড়ি আছে কিনা, প্রিন্সিপালের খাদেম সংখ্যা, মাদরাসার আয়ের উৎস, মাদরাসায় এতিম আছে কিনা? ছাত্র সংখ্যা কত? ছাত্ররা বেতন দেয় কিনা ইত্যাদি বেশ কিছু তথ্যসম্বলিত একটি ছক। এসব তথ্য পূরণ করে পুলিশ সদস্য চলে যান।
উল্লেখ্য, মাদরাসার ভেতরে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
- Advertisement -