বরিশালে এক যুবককে রাতে ডেকে নিয়ে গলা কেটে হত্যা–শীর্ষবার্তা
বরিশাল সংবাদদাতাঃ
বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বালিয়াতলী গ্রামে ইমরান হোসেন নামক এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। দফাদার আলতাফ হোসেনের তিন ছেলে ও এক কন্যার মধ্যে ইমরান সবার ছোটো ৷ তার বয়স ২৫ ৷
গত বুধবার ৷ ২৯ এপ্রিল ৷ রাত ৷ ঘড়ির কাঁটা ১১টা ছুঁইছুঁই ৷ ইমরান ঘুমোতে যাবে ৷ প্রস্তুতি নিচ্ছে তার ৷ হঠাৎই একটা ফোন আসে ৷ রিসিভ করে কথা বলতে বলতে বেরিয়ে যায় ঘর থেকে ৷ বাবা-মা বুঝেছিলেন এটা স্বাভাবিক কোনো কথাবার্তা ৷ কে ফোন দিলো বা ফোনে ইমরান কী বলছে তার দিকে তাদের খেয়াল নেই ৷ এমনটাই বলছে পরিবারটি ৷ কিন্তু অনেকক্ষণ ইমরান ঘরে না ফেরায় বেরিয়ে আসেন তার বাবা-মা ৷ তালাশ করেন তাকে ৷ কিন্তু তার কোনো হদিস মেলেনি ৷
রাত শেষ ৷ পূর্বদিগন্তে সূর্যোদয় হয়েছে ৷ কিন্তু এই সূর্য যে ইমরানের পরিবারের জন্য দুঃসংবাদ বয়ে আনবে তা তারা কল্পনাও করেননি ৷ বৃহস্পতিবার সকালে নিজ বাড়ির অদূরে মাত্র ৪০০ গজের মধ্যে সড়কের পাশের জমিতে ইমরানের লাশ মেলে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে গলা কেটে হত্যা নিশ্চিত করা হয়েছে। মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফয়েজ আহমেদ এই তথ্য জানান।
ইমরান দেড় বছর আগে কাতার থেকে ফিরে বাড়িতেই অবস্থান করছিলো ৷ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মুলাদীতে মুষোলধারে বৃষ্টি ছিলো। এ ঘটনায় দুপুর ১২ টায় বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঘটনাস্থলে লাশের পাশে বরিশাল জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাইমুল ইসলাম, সার্কেল অফিসার আনিচুল করিম উপস্থিত ছিলেন ৷
পুলিশ এখনো নিশ্চিত নয় যে কী কারণে এই নিষ্ঠুর হত্যাকান্ড ঘটলো ৷ তবে রাতে সেলফেনে কে ডেকে নিয়েছিল পুলিশ তা নিশ্চিত হতে চাইছে। ঘটনাস্থল ও বিভিন্ন আলামত পর্যাবেক্ষণ করছেন তারা ৷ তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বন্ধুদের সাথে কোন কারণে বিবাদ সৃষ্টি থেকে এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হতে পারে বা পরকিয়া কোনো ঘটনা ঘটতে পারে। স্থানীয় আরেকটি সূত্র বলছে, হত্যার নেপথ্যে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ অথবা নারী ঘটিত ঘটনাও নিহিত থাকতে পারে। অবশ্য তার পরিবার বলছে, ইমরানের সাথে কারো শত্রুতা নেই। তবে নারীঘটিত বিষয় নিয়েই এলাকায় কানাঘুষা চলছে ৷
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য মহিলা সহ ৮ জন কে আটক করেছে ৷ এরা হলো ১. সজীব মীর (বন্ধু) পিতাঃ জসীম মীর,গ্রাম বালিয়াতলী এবং ২. আফরোজা পিতাঃ আলাউদ্দিন সরদার, গ্রাম বালিয়াতলী এবং আরো ছয়জন ৷
- Advertisement -