রিফাত শরীফ হত্যা মামলার সত নম্বর আসামী তারই স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির ফাসিঁর আদেশ দিয়েছে আদালত। ফাঁসির দণ্ড মাথায় নিয়েই আদালত থেকে কারাগারে গেলেন বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার সাত নম্বর আসামি স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি।
দন্ডপ্রাপ্ত বাকি আসামীরা হলেন – মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), ও মো. হাসান (১৯) ।
ফাঁসির আদেশের পরই মিন্নিকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। একই সঙ্গে মিন্নিকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এরপর মিন্নিসহ সব আসামিকে আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান বাবু।
তিনি বলেন, রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই মিন্নিকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সবাইকে কারাগারে নিয়ে গেছে পুলিশ।
আরো পড়ুন – সত্য-মিথ্যা সাক্ষ্য সম্পর্কে ইসলাম কী বলে?
উল্লেখ্য-
২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শত শত লোকের সামনে রিফাত শরীফকে (২৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
ঘটনার পরদিন ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পাঁচ-ছয়জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নিহত রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দু’ভাগে বিভক্ত করে ২৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এতে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপর ৮ জানুয়ারি থেকে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন আদালত। এ মামলায় মোট ৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ নেয়া হয়।
১৬ সেপ্টেম্বর এ মামলার দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান রায়ের জন্য বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিন ধার্য করেন।
- Advertisement -