একজোড়া শালিক

একজোড়া শালিক

কে.এম. ওমর ফারুক

 

রাত যত গভীরের দিকে যেতে শুরু করে এই পরিবেশটার প্রতি আমার ততই ভালোলাগা বাড়তে থাকে। চারপাশে কেমন যেন একটা নিস্তব্ধতা,থমথমে অবস্থা। শব্দের মধ্যে; ঝিঁঝি পোকার ডাক এবং রুমের মধ্যে ছোট্ট পাখার ঘুরতে থাকার আওয়াজটা কানে আসে।আর মাঝেমধ্যে কোথা থেকে যেন আচমকা পাখির ডানা ঝাপটানো শব্দ ভেসে আসে, মনেহয় খুব কাছে কোথাও, কিন্তু দিনের বেলা শতো খোঁজাখুঁজি  করেও তার হদিস মিলে না। এগুলো বাদে বাকিটা থমকে থাকে, মনেহয় পৃথিবীটাও সারাদিনের ক্লান্তি শেষে এখন মনের সুখে ঘুমোচ্ছে। সারাদিন লোকজনের চিৎকার, চেঁচামেচি, হৈ-হুল্লোড় জাঁকজমক আওয়াজে মানসিকভাবে খুব নির্যাতিত হচ্ছি! কোনোকিছু ভাবতে গেলেই কোথা থেকে একটা অসহ্য শব্দ এসে হাজির হয় শেষে আর কিছু ভাবতেই পারি না, রাগ করে আর লেখাও হয় না। তাই এই সুযোগে আমার মনের মধ্যে শুধু বাক্যের ঝঙ্কার বাজতে থাকে। আগেকার দিনের বর্ষাকালে বিল-ঝিল,পুকুর, ডোবায় যেমন মাছে মাছে চারদিক কিলবিল করতো লোকজন কোনটা রেখে কোনটা ধরবে তার কোনো দিশা খুঁজে পাওয়া যেতো না। আমারও এই সময়টা তেমন একটা অবস্থা হয়। কিন্তু পরের দিনের কথা ভাবতেই আর লেখা হয়ে ওঠে না।

 

কাল আমার সারাদিন ফ্রি, তাই আজকের রাতটা বাক্যের সাথেই কাটাবো বলে ভাবছি। কিন্তু কী লিখবো তা ভাবতে ভাবতেই চোখের নজর গিয়ে জানালার ওপর পড়লো। মনে পড়ে গেলো সেই বন্ধুদের কথা। যারা নিত্যদিন আমার খোঁজ খবর নিতো। মনে পড়ে গেলো সেই কিচিরমিচির করে ডাকার ধ্বনি। ঠকঠক করে কাঁচের জানালাটা ঠোকরাচ্ছে আর আমাকে ডাকছে শুনছো?বন্ধু শুনছো আমাদের ডাক?

আরে ভোর হয়েছে এখনও কী ঘুমাতে হয়? বলি আজকে কী অফিসে যাবে না?  নাকি বন্ধ?

কি হলো এখনও উঠো না কেনো! উঠো!!

 

ওদের সাথে আমার প্রথম দেখা হয়েছিল কোনো এক শুক্রবার সকালে। তখন আমার অফিস বন্ধ ছিলো। শীতের সকাল। চারদিকে ঘন কুয়াশার জন্য দুই-তিন মিটার পরে গাছপালা,বাড়ি, গাড়ি ঠিক বোঝার উপায় নেই। উত্তরা ঠাণ্ডা হাওয়া শোঁশোঁ করে আসছে। ভোর ৬ টা ৭ টার দিকে কাঁচের জানালাটার খটখট শব্দ আমাকে ঘুম ভেঙে দেয়। প্রথমে একবার ঘুম থেকে জেগে জানালার কাছে যেতেই ভয়ে ওরা উড়ে যায়। অফিস বন্ধের কথা ভেবে আবার শুয়ে পড়ি,কিন্তু পুনরায় ঠকঠক শব্দ আর ঘুমাতে দিলো না। এবার জানালার কাছে গেলাম কিন্তু ওরা আর উড়ে গেলো না আস্তে আস্তে জানালা খুলে একটু ফাঁক করলাম তা-ও ওরা সরলো না, অথচ কিচিরমিচির করে সজোরে চেঁচামেচি শুরু করলো যেনো আমি কোনো অপরাধী আর ওরা আমাকে বকা দিচ্ছে! ওদের এই আচরণে আমি হতবাক হয়ে পড়লাম! কী ব্যাপার আমাকে দেখে যাদের ভয়ে পালানোর কথা অথচ না পালিয়ে উল্টো আমাকেই একগাদা কথা শোনায়! ভাবলাম ওদের মনেহয় অনেক ক্ষুধা পেয়েছে  তাই একমুঠো ভাত এনে আস্তে করে জানালার ফাঁক দিয়ে ওই পাশে রাখতেই ওরা গাপুসগুপুস খেতে লাগলো। ওদের এরকম খাওয়া দেখে আমার অনেক মায়া লেগে গেলো। আরও একমুঠো ভাত এনে বললাম কিরে খুব ক্ষুধা পেয়েছে তাই না নে পেট ভরে খেয়ে নে। ওরাও পেটভরে খেয়ে চলে গেলো সেদিন আর এলো না।

 

পরেরদিন ঠিক একই সময়ে আবার জানালার কাঁচের গ্লাসে ঠকঠক শব্দ। জানালার ওপর এতই ঠোকাচ্ছিলো যে ঘুম থেকে না উঠে আর পারলাম না। উঠেই জানালা খুলে দিলাম। খুলতেই ওরা কিচিরমিচির চেঁচামেচি শুরু করলো। ওদের এ ভাষা যেনো আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি। ওরা বলছে; গতকালের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ তোমাকে গতকাল না বলেই চলে গেছিলাম কারণ আমাদের বাচ্চারা ক্ষুধার্ত ছিলো। আমি বিস্মিত হয়ে ওদের দিকে চেয়ে ভাবলাম মাত্র দুমুঠো ভাতের কারণে আমি ওদের কাছে এতো প্রিয় হয়ে গেলাম যে ওরা আমাকে কৃতজ্ঞতা জানাতে এলো! জীবনে কত মানুষকেই তো কতকিছু দিলাম ক’জনেই বা এলো সামান্য কৃতজ্ঞতাটুকু জানাতে! তারা তো মানুষ, তাদের কত বুদ্ধি,বিবেক,আত্মসংযম দিয়ে গড়েছেন মহান আল্লাহ। অথচ তাদের থেকে কতই না উপরে স্থান নিলো এই পাখি দুটি। আমি পাতিল থেকে দুমুঠো ভাত এনে দিলাম। বললাম নে খেয়ে নে তোরা। ওরা খেতে লাগলো।

আমি জিজ্ঞেস করলাম; তোদের কয়টা বাচ্চারে?

খেতে খেতে বললো; ৪ টা।

আচ্ছা ওদের আগে কী খাওয়াতিস? খাবার কোথা থেকে আনতি?

—আগে খাওয়াতে হতো না, তিনদিন হলো ফুটলো। দুজনে এখান সেখান থেকে খেয়ে নিতাম।

দুপুরে কী খাওয়াস?

এগুলোই কোনোমতে সারাদিন চলে।

ওহ্! আচ্ছা তাইলে তোরা দুপুর ১ টার দিকে আসিস কেমন? তখন আমি অফিস থেকে দুপুরের খাবার খেতে আসি।

আচ্ছা, তুমি বুঝি চাকরি করো?

হ্যাঁ।

তাহলে আমরা এখন যাই বন্ধু বাচ্চারা অনেক ক্ষুধার্ত এই বলে চলে গেলো।

আমি একটু জোরে বললাম; দুপুরে একবার আসিস কিন্তু।

যেতে যেতে বললো; আচ্ছা বন্ধু।

ঘড়ির সময় দেখতে গিয়ে দেখি এখনও অনেক সময় আছে অফিসে  যেতে তাড়াহুড়ো করতে হবে না।আগে যেমন ঘুম থেকে উঠতাম তাতে প্রায় দিনেই না খেয়ে যেতে হতো নইলে দেরি হয়ে যাবে তাই।ওদের কারণে একটু তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে তো পারি এই ভেবে   অনেক ভালো লাগলো।

 

দুপুরে বাসায় গিয়ে ওদের দেখতে পেলাম না। আশেপাশে খুঁজলাম কিন্তু কোথাও দেখা মিললো না।

 

পরেরদিন আবার জানালার কাঁচের গ্লাসে ঠকঠক শব্দ। ঠকঠক করে কাঁচের জানালাটা ঠোকরাচ্ছে আর আমাকে ডাকছে শুনছো?বন্ধু শুনছো আমাদের ডাক?

আরে ভোর হয়েছে এখনও কী ঘুমাতে হয়? বলি আজকে কী অফিসে যাবে না?  নাকি বন্ধ?

কি হলো এখনও উঠো না কেনো! উঠো!! আমি ঘুম থেকে উঠে ওদের জিজ্ঞেস করলাম; কিরে তোদের কত করে বললাম দুপুরে আসিস তা এলি না কেনো?

বললো আর বলো না বন্ধু আমাদের দুটি বাচ্চা খেয়ে ফেলেছে একটা হুলোবেড়াল এসে! (বলেই দুজনে কাঁদতে শুরু করলো)

কী বলিস!

হ্যাঁ গতকাল আমরা আসবো এমন সময়ে দেখি একটা হুলোবেড়াল গাছ বেয়ে উঠছে আমরা দুজনে দুটো ছানা নিয়ে পালালাম আর দুটো খেয়ে ফেলেছে শয়তান বেড়ালটা! এজন্যই আসতে পারিনি,যখন এসেছি তখন তোমাকে পাইনি।

তোদের বাসা কোথায় ছিলো?

—এই বাঁশ বাগানের ওইপাশে একটা মোটা নিমগাছে।

তো এখন কোথায় থাকিস?

—ওখানেই ছিলাম আজকে নতুন জায়গায় বাসা বাঁধবো।

আচ্ছা তোরা এই বাঁশ বাগানের ওই উঁচু বাঁশঝাড়টা দেখতে পাচ্ছিস?

— হ্যাঁ

ওখানেই উঁচুতে বাসা বানা তাহলে তোদের পাত্তা পাবে না।

— আচ্ছা ঠিক আছে।

শোন, আজ থেকে বেশি করে খাবার দিবো তোরা পেটপুরে খেয়েদেয়ে যখন ইচ্ছা এসে নিয়ে যাবি।

—আচ্ছা ঠিক আছে।

 

এরকম করে  কিছুদিন চলার পরে হঠাৎ একদিন ওরা ছানা দুটোকেও সাথে নিয়ে আসে। ছানা দুটো খেয়েদেয়ে বেশ মোটাতাজা হয়েছে। বয়স আন্দাজে অনেক বড়ই দেখা যায়। তেমন ভালোভাবে উড়তে পারে না। পড়ে যায় যায় এমন একটা অবস্থা। ছানা দুটো আমাকে দেখেই এমনভাবে চেঁচামেচি শুরু করছে মনেহয় আমাকে ওরা হাজার বছর ধরে চেনে। পরক্ষণে ওদের মা-বাবা বলে উঠলো; ওরা তোমাকে চেনে আমরা তোমার সম্বন্ধে সবসবময়ই ওদের সাথে গল্প করি। ছানা দুটো বললো; আপনার সম্বন্ধে আব্বু-আম্মু সবসময়ই আমাদের সাথে গল্প করে। তাদের মুখে সবসময়ই আপনার সুনাম থাকে। তারা বলে আমরা সারাজীবন জেনে আসছি মানুষ এক হিংস্র জাত। এরা সবসময়ই আমাদের উপর হিংস্রতা দেখায়। আমাদের গোশত খাবার জন্য, আমাদের মারার জন্য উন্মাদ হয়ে যায়। ওদের জন্য কোথাও শান্তিমতো থাকতে পারি না। অথচ আমরা এমন একজন মানুষের সাক্ষাৎ পেয়েছি যার ব্যবহারে বোঝা যায় আসলে মানুষকে কেনো আল্লাহ তাআ’লা শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে মনোনীত করেছে। মানুষটা চাইলে আমাদের খাঁচায় বন্দী করতে পারতো,মারতে পারতো,আমাদের জবাই করে রান্না করতে পারতো। অথচ সে তা না করে আমাদের সাথে উল্টো বন্ধুত্ব করেছে,সাহায্য সহযোগিতা করে, আমাদের খাবার দেয়,কতোই না যত্ন করে। তার এই ঋণ আমরা কখনোই শোধ করতে পারবো না। প্রতিদিন তাদের মুখে আপনার এতো প্রশংসা দেখে আমরা আগেই আসতে চেয়েছিলাম একনজর দেখার জন্য। যদি আগে উড়তে পারতাম তাহলে আগেই দেখতে চলে আসতাম। আমি ওদের মুখের দিকে এক ধ্যানে চেয়ে রইলাম আর সব কথাগুলো শুনলাম। ওদের কিছু  বলার মতো কোনো ভাষা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। কোনো পাখির মনে ঠাঁই পাওয়া একটু-আধটু সুখের কথা না। এর চেয়ে বড়ো সুখ আর কী হতে পারে!

শুধু বললাম; শোনো সোনামণিরা মানুষ কখনও খারাপ হয় না, হিংস্র হয় না, যারা এরূপ তারা অমানুষ। চেহারা যতই মানুষের হোকনা কেনো মনুষ্যত্ব বোধ ছাড়া কখনও সে মানুষ হতে পারবে না। মানুষের কাজই জীবকে সেবা করা। আমি তোমাদের সেবা করাতেই সুখ পেয়েছি,বন্ধু পেয়েছি,সকালবেলা ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠে অফিসে যেতে পেরেছি, আমার একাকিত্ব অনুভব দূর করতে পেরেছি। বলো তোমাদেরও কি কম কৃতিত্ব আছে? তোমরাও তো আমার অনেক উপকার করলে।

আরো পড়ুন – ভূতের গল্প পিচাশীনি

কিছুদিন পর বিশ্বের চারদিকে শুরু হলো এক ভয়ঙ্কর আতঙ্ক “করোনা ভাইরাস”। চারদিকে হইচই পড়ে গেলো। ভয়ে সবাই জড়সড়! বাঙলাদেশেও ছড়িয়ে পড়লো এ মরণঘাতী ভাইরাস। ঘোষণা করা হলো দোকানপাট,অফিস-আদালত,যানবাহন, স্কুল-কলেজ সবকিছু অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ। সবাইকে ঘরে থাকার জন্য বলা হলো। কিন্তু কে শোনে কার কথা কিছু লোক থেকে গেলো বাকি সবার একটাই কথা মরবো যখন বাড়ি গিয়ে মরবো এখানে মরলে লাশটাও দেখার কেউ নাই। আমিও চলে গেলাম। মহামারি ধাই ধাই করে বাড়তেই থাকলো কমার কোনো নাম নাই। এদিকে টাকা-পয়সা সব শেষ করে আরও ঋণ করে ফেলেছি। এখন আর জীবন চলে না। এদিকে অফিসও খোলার অনুমতি দিলো সরকার। করোনার মধ্যে অফিস খুললো প্রায় দেড়-দুইমাস পরে। পেটের দায়ে পরিবার বাঁচাতে জীবনের মায়া ত্যাগ করে আবার ঢাকায় আসতে বাধ্য হলাম। এসেই খুঁজতে শুরু করলাম ওদের। সকাল গেলো সন্ধ্যা এলো কিন্তু কোথাও ওদের পাত্তা পেলাম না। ছুটে গেলাম  বাঁশ বাগানে বাসা খুঁজতে কিন্তু বাসাটাও আর পেলাম না। চারিদিকে তন্নতন্ন করে খুঁজেও কোথাও ওদের হদিস পেলাম না।

 

প্রায় ভুলেই গেছিলাম শালিক জোড়ার কথা। একদিন দুপুরে লাঞ্চ করতে এসে হঠাৎ করে দেখতে পেলাম একটা শালিক ডিশের তারের ওপর বসে আছে। আমায় দেখতে পেয়েই এমন চেঁচামেচি শুরু করলো মনেহয় অমূল্য এক হারানো ধন ফিরে পেলো।

জিজ্ঞেস করলাম; তোর সাথের আরেকটা কই? আজ একা এলি যে?  এতোদিন কই ছিলি তন্নতন্ন করে খুঁজেও কোথাও পেলাম না যে? দেখতে পেলাম ওর দু-চোখে অশ্রু টলটল করছে। আমি আরও বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করলাম কিরে কিছু বলোস না কেনো!

— ও বললো, আমার সব শেষ হয়ে গেলো।

কী! সব শেষ হয়ে গেলো মানে?

— হ্যাঁ, আমরা দুদিন তোমার এখানে এসে তোমাকে পাইনি তার পরেরদিনই এক ভয়ঙ্কর ঝড়ে আমার বাসা উড়িয়ে নিয়ে যায়। বাসার সাথে বাচ্চাদেরও নিয়ে যায়, কোথায় যে নিয়ে গেলো তার কোনো সন্ধান আজও পর্যন্ত মিললো না। আমি কোনোমতে বাসা থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম, আর স্বামী আসতে গিয়ে বাঁশের সাথে ধাক্কা খেয়ে নিচে পড়ে যায়। তার একদিন পরেই সে মারা যায়।

ওর কথা শুনে আমার গা শিউরে ওঠে! ওদের জন্য খুব মায়া হয়।আহা কত সুন্দরই না ছিলো ছানা দুটো! কতো সুন্দরই না ছিলো ওর স্বামীটা! নিজের অজান্তেই চোখে পানি এসে গেলো। বুকের ভেতরটা খা খা করতে লাগলো।  মনেহলো যেনো আমি আপন কোনো মানুষকে হারিয়েছি। মানুষই তো! এদের তো কিছু নোংরা মানসিকতার মানুষের চেয়েও অধিক জ্ঞান। মানুষ যদি মনুষ্যত্বের অভাবে অমানুষ হয় তাহলে এরা কেনো বিবেকবান হয়ে অমানুষে থেকে যাবে? এরাও মানুষ।

আচ্ছা তাহলে তুই কই ছিলি এতোদিন? তোকে তো পেলাম না!

—আমি বাসা বেঁধেছি এই শহর থেকে দূরে বহুদূরে একটা বিশাল বড়ো গাছে। সেখানে চারদিকে শুধু গাছ আর গাছ। ঝড়-তুফান হলেও ঝুঁকি কম। তোমার কথা অনেক মনে পড়লো তাই দেখতে এলাম। এর আগেও কয়েকবার এসেছিলাম পাইনি। আচ্ছা বন্ধু এখন তাহলে বিদায়, বেলা গড়িয়ে যাচ্ছে, আমার আবার ফিরতে হবে, ভালো থেকো বন্ধু। (যেতে যেতে বললো)  আমিও চিৎকার করে বললাম আবার আসিস বন্ধু, নিজের খেয়াল রাখিস।

 

 

জেলাঃ গোপালগঞ্জ

থানাঃ কোটালীপাড়া

 

 

Leave a Comment