কে এই মাহমুদুল হক জালীস ?



মাহমুদুল হক জালীস , বাংলাদেশ প্রতিদিন, সমকাল, আমাদের সময়, সময় নিউজ টিভি  সহ বাংলাদেশের মুলধারার অনেক মিডিয়ায় যার লেখা নিয়মিতভাবে ছাপা হচ্ছে । পত্রিকার পাতা খুলতেই দেখতে পাই মুফতি মাহমুদুল হক জালীসের গবেষণাধর্মী ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চমৎকার সব লেখা।

আজকে আমরা জানবো কে এই মুফতি মাহমুদুল হক জালীস ?

প্রাথমিক জীবন

মাহমুদুল হক জালীস পিরোজপুর জেলার অন্তর্গত স্বরূপকাঠি থানার গুয়ারেখা বড়বাড়িতে ৫ / ৪/ ১৯৯৫ সালে জন্মগ্রহন করেন ।প্রাথমিক জীবন শুরু করেন ইসলামি শিক্ষার মাধ্যমে। পরবর্তী সময় হিফজ সমাপ্ত করেন হাফেজ দবির সাহেবের কাছ থেকে। তার পিতা হাফেজ নুরুল হক সাহেবও এই শিক্ষকের থেকে হিফজ শেষ করেন। সেই সুবাধে পিতাপুত্র উভয়ের হিফজ শিক্ষক একজন।

শিক্ষা জীবন

মাহমুদুল হক জালীস প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্বতঃস্ফূর্ত আল্লাহ তায়ালার পবিত্র কালাম বক্ষে ধারণ করার পর মাওলানা লাইনে পড়াশোনা শুরু করেন। সেই সুবাধে প্রথমে ভর্তি হন জামিয়াতুল আবরার মাদরাসায়। সেখানে দীর্ঘ চার বছর পড়াশোনা শেষ করে ভর্তি হন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া সাত মসজিদ মাদরাসায়। সেখানে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র হাদিস অধ্যয়ন করেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম আল্লামা মামুনুল হক সাহেবের কাছে।

কর্মজীবন

পড়াশোনা শেষ করে বর্তমানে যুক্ত আছেন মহান পেশা শিক্ষকতায়। মুহাদ্দিস এবং ভাইস প্রিন্সিপাল হিসাবে নিয়োজিত আছেন খাদিমুল ইসলাম মাদরাসা ঢাকাতে। পাশাপাশি নিয়মিত ধর্মীয় কলাম লিখছেন জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে। সময় টেলিভিশনের সাইটে। ধর্মীয় আলোচনা করছেন টেলিভিশন এবং রেডিওতে। বিশেষ করে নিউজ ২৪ এবং রেডিও ধ্বনিতে।

ব্যাক্তিগত জীবন

তিনি ব্যাক্তিজীবনে বিবাহিত এবং পরিবার সহ বর্তমানে ঢাকায় বসবাস করছেন।



সাহিত্যকর্ম

মাহমুদুল হক জালীস ছোটবেলা থেকেই লেখালেখী করেন, এ পর্যন্ত তার অনেকগুলি বই [২] প্রকাশিত হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বইগুলি হল

  • অন্ত্যমিলের বসতবাড়ি (ছড়া)
  • স্বর্গীয় গন্দম (কবিতা)
  • চেঞ্জ ইউর লাইফ (গল্পপ্রবন্ধ)
  • ভাবনার দুয়ার (গল্প)
  • ইসলামি মোটিভেশন (প্রবন্ধ)
  • ছোটদের নবিজী

পুরষ্কার

মুফতি মাহমুদুল হক জালীস লেখালেখি করে বিভিন্ন জায়গা থেকে পুরস্কার পেয়েছেন। বিশেষ করে প্রিয় বাংলা পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেয়েছেন ২০১৮ সালে।

 

আরো পড়ুন – দরখাস্ত লেখার নিয়ম