সঙ্কটে গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমের করণীয়

সঙ্কটে গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমের করণীয়

জসিম মুহাম্মদ রুশনী

আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞান গণমাধ্যমকে বলেছে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। একটি ইমারতের জন্য প্রতিটি স্তম্ভ যেমন সমান গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই রাষ্ট্রের জন্যও তা -ই। গণমাধ্যম হুমকিতে থাকা মানে রাষ্ট্র তার দেহে জটিল রোগকে প্রশ্রয় দিয়েছে।

“একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা” কথাটি হলো আন্তর্জাতিক পরিসরের রাজনৈতিক আপ্তবাক্য। এই আপ্তবাক্য যারা যতো বেশি বলতে পেরেছে তাদেরকে ততোই দূরদর্শী বলে ভেবেছে পৃথিবীর চিন্তাশীলরা। কিন্তু আদতে এর সিকিভাগ প্রতিফলনও নেই। সবাই বরং একুশ শতকে একের দশকে পিছিয়ে নেয়ার প্রতিযোগিতায় মেতেছে।

একুশ শতকের চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করতে হলে গণমাধ্যমকে অবাধ স্বাধীনতা দিতে হবে। গণমাধ্যম তো তা -ই, যা গণসমষ্টির কথা বলে। তো গণসমষ্টির কথা বলা সেই যন্ত্রটিকে যদি কারও নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন কী সে সাবলীলভাবে বলতে পারবে?

স্বামীর পায়ের নিচে কি স্ত্রীর জান্নাত

বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বলবো না, বলবো বাঙলাদেশ নিয়ে। সাম্প্রতিক বাঙলাদেশ গণমাধ্যম নিয়ে এক নির্লজ্জ খেলায় মেতে উঠেছে। যখন যার যে মিডিয়াটি পছন্দ হচ্ছে না তখনই সে সেই মিডিয়াটি বয়কটের ডাক দিচ্ছে। এই ক্ষেত্রে সাধারণের কথাটিও বাদ দিলাম, পরস্পর বিপরীতমুখী দুই জনপ্রিয় যুবকের বয়কটের ডাক প্রসঙ্গেই বলতে চাই।

একটি ভালোবাসার গল্প

 

সজীব ওয়াজেদ জয় এবং নূরুল হক নূর এই সময়ের সবচে জনপ্রিয় দুই যুবক। দেশের বিশাল যুবগোষ্ঠী যার যার মতো করে এই দু’জনকে নিয়েই আগামী নেতৃত্বের স্বপ্ন দেখছে। অথচ তাঁরা কী করলেন? নিজেদের মতের পক্ষে না থাকায় দু’জনই দুটি জনপ্রিয় মিডিয়াকে বর্জনের ডাক দিলেন। নূর বললেন একাত্তর টিভি বয়কটের কথা আর জয় বললেন প্রথম আলো’র কথা।

ধর্ষণ রোধে করণীয় কী? 

লম্বা বিশ্লেষণে যাবো না, সোজা বাঙলায় বলতে চাই – এই দু’জনই গণমাধ্যমের শত্রু হিসেবে উপস্থাপন করেছেন নিজেদেরকে। আগামীতে এঁদের যিনিই ক্ষৃতাবান হোন না কেন, ওঁরা জঘন্য কায়দায় গণমাধ্যমকে চেপে ধরবেন। সুতরাং এখন গণমাধ্যমকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে সে কোন্ পথে যাবে।

(জসিম মুহাম্মদ রুশনী // শিক্ষক, কবি ও কলামিস্ট)

Leave a Comment