পিচাশীনি
গোলাম মোস্তফা টুটুল
…………
দেখ একটি মেয়ে! খালেদের কথায় ভূত দেখার মত চমকে উঠলো ওমর। মেয়ে? এ গহীন জঙ্গলে মেয়ে আসবে কোথা থেকে? বলতে বলতেই দুজনে পা বাড়ালো সম্মুখে। মেয়েটি একটা মরা গাছের নিচে বসে ছিল, কারো পায়ের আওয়াজ শুনেই মেয়েটি ঘুরে দারালো খালেদদের দিকে।
ততক্ষণে ওরা মেয়েটির কাছাকাছি চলে এসেছে। ওদের মধ্যে চোখাচোখি হতেই বিদ্যুৎ খেলে গেল দুজনের মনে।
.
এক ভুবনমোহিনী যুবতী। অনিন্দ্য সুন্দরী তাইফার চেহারায় ছিল কমনীয়তার দুর্লভ আভা৷ চোখে মায়ার অঞ্জন। তার চুলে ছিল মেঘমেদুর আকাশের মাধুর্য্য। উন্নত নাসিকার নিচে পাতলা রক্তাভ ঠোঁট দুটি তার কাঁপছে। পূব আকাশের সূর্য্যটা ততক্ষণে লজ্জায় লাল হয়ে চলে গেছে তার আপণ ঠিকানায়। ঘন অন্ধকারে ছেয়ে গেছে পুর জঙ্গল! হঠাৎ এক ঝলক ধমকা বাতাস এসে ঝাউগাছে শোঁ শোঁ আওয়াজ তুললো। তাইফা ভয়ে খপ করে জরিয়ে ধরলো খালেদকে! খালেদ একটু বিবৃত বোধ করলো তাইফার বাহু বন্ধন থেকে নিজেকে মুক্ত করতে চাইলো কিন্তু পারলো না। আরো শক্ত করে খালেদকে জরিয়ে ধরলো তাইফা।
আবেগের নদীতে বান ডাকলো খালেদের। সেই বানের তোড়ে সে ভেসে চললো সেই পথে, প্রেমে পরলে মানুষ যে পথে ভেসে যায়। এ এমন এক পথ যে পথে ভেসে যাওয়া যায়, কিন্তু সে স্রোতে পরে গেলে সেখান থেকে আর ফিরে আসা যায় না।
তাইফা তাকে তার যাদুর পরশে জ্ঞান শূন্য করে বাহু বন্ধন আলগা করে দিল। খালেদ মুক্ত হয়েই তাকালো তাইফার দিকে, তাইফার অশ্রু ধোয়া মুখের উপর দু চারটে আগোছালো চুল এলোমেলো দোল খাচ্ছে। স্তম্ভিত খালেদ অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে রইলো বিমুগ্ধ নয়নে, যেন এই মাত্র মধুবর্ষী কোকিলেরা বসন্ত উৎসবে মেতে উঠেছে।
আরো পড়ৃুন – শুক্রবার মারা গেলে কি কবরের আজাব মাফ?
.
কাধে কারো হাতের স্পর্শ অনুভব করলো খালেদ। মৃদু টোকা দিয়ে ওমরের জিঙ্গাসা কিরে? এতক্ষণে মনে পরলো ওমরের কথা, কেটে গেলো সুখময় ঘোর। খালেদ প্রস্তুত হতেই ওমর মেয়েটিকে জিঙ্গস করলো তোমার নাম কি? এখানে এলে কিভাবে? তাইফার কপালে চিন্তার ভাঁজ। তাইফা শহরের এক অভিজাত পরিবারের মেয়ে। এক বন্ধুর মাধ্যমে কিডন্যাপ হয়েছে। তাইফা কে ভোগ করার নেশায় দু কিডন্যাপার ওকে এখানে নিয়ে এসেছে, এমনটাই বর্ণনা দিলো ওমরদের কাছে সে। ওমর জিজ্ঞাসু নেত্রে চাইলো তাইফার চোখ বরাবর। এখন তারা কোথায়? ওদের আমি খুন করেছি! ওমরের জিঙ্গাসার জবাবে তাইফার উত্তর। খুন? হ্যা খুন করেছি, কৌশলে আমি ওদের দুজনকেই শেষ করে দিয়েছি। পালানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু এখান থেকে বেরুবার কোন পথ খুজে পাই নি। বলেই হাটা দিলো তাইফা। সম্মুখে চঞ্চল দৃষ্টি রেখে দুজনেই অনুসরন করলো তাইফার পথ৷ হঠাৎ থমকে দ্বারলো তাইফা, তাইফাকে থামতে দেখে ওমরদের পা ও আটকে গেল নিরবে। হঠাৎ দৃষ্টি গোচর হলো দুটি তরতাজা লাশ! আৎকে উঠলো খালেদ। লাশ দুটি থেকে এখনো ফিনকি দিয়ে রক্ত ঝরছে, শারা শরীরের সাথে মুখের রং মেলানো যায় না, মুখ কালো হয়ে বিভৎসো আকার ধারন করেছে! কপালের মাঝ বারাবর একটি অদ্ভুত চিহ্ন। দুট লাশের কপালেই একই ধরনের অদ্ভুত চিহ্ন!
.
তাইফা কাদছে ভুপিয়ে ভুপিয়া, খালেদ বুঝতে পারলো তাইফার ভয় এখনো কাটেনি। তাইফাকে শান্তনা দিয়ে বললো, ভয় নেই ওরা তো এখন আর জীবতো নেই তোমার কোন ক্ষতিও করতে পারবে না। আর আমাদের থেকে ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে নিশচিত হও, আমরা তোমাকে তোমার আপন ঠিকনায় পৌছে দেব। আপণ ঠিকানার কথা শুনেই তাইফা নড়ে উঠলো, প্রতিবাদ করে বললো না না আপনাদের দোহাই আমাকে বাসায় ফেরত পাঠাবেন না! আমি দুদিন ধরে নিখোজ হঠাৎ উপস্থিত হলে সবাই আমাকে নিয়ে অনেক বাজে মন্তব্য করবে। আমাকে বাসায় না পাঠিয়ে প্লিজ আপনাদের কাছে আশ্রয় দিন এটুকু বলেই আবারো কান্না জুড়ে দিলো মেয়েটি! কান্না শুনে ওমরের মনে মায়া হলো, বললো ঠিক আছে তুমি যা চাও তাই হবে এবার চলো এখান থেকে বের হই।
.
খালেদ এবং ওমর দু বন্ধু, ছোট বেলা থেকে দুজন একসাথে বড় হয়েছে, দুজনের বাড়ির মাঝের পথ বেশী দুরত্বে নয়৷ যেখানে যায় দুজন একসাথে। আজ এসেছিলো দুজনে পাখি শিকার করতে, পাখি খুজতে খুজতে ওরা ঢুকে পরেছিল জঙ্গলের গভির প্রান্তে আর এতেই ওরা এক অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী হয়ে গেল। ওরা লাশ দুটি বায়ে রেখে খানিক সামনে যেতেই কারো গোঙ্গানি শুনতে পেল, সেই সাথে সদ্যজাত সন্তানের কান্নার ধ্বনীও ওদের অন্তরে ভীতির সৃষ্টি করলো৷ থমকে দারালো ওরা, খুজতে লাগলো কান্নার উৎস, না কোথাও কোন মানুষের চিহ্ন নেই, তাহলে কি ভুল শুনলো ওরা? হয়তো ভুল, কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আবারো পথ চললো তিনজন সামনে খালেদ মাঝখানে তাইফা পিছনে ওমর। একটু দুরে যেতেই আবারো সেই গোঙ্গানির সাথে কোন মহিলার করুন বিলাপ শব্দের কান্না! আবারো থমকে দারালো ওরা, কান্না উৎস খুজে পেলো না কোথাও! জোনাকি পোকার মিটি মিটি আলোয় আবারো পথ ধরল, খানিক এগুতেই চোখে পরলো দুটি ছায়ামূর্তির। কে, কে? ওমরের ঝাঝালো কন্ঠে জিঙ্গাসা, নড়ে উঠলো ছায়ামূর্তিরা, চোখের পলকে ঝোপের আড়ালে হারিয়ে গেল ছায়ামূর্তিরা। সাহসী ওমর দ্রুতপতে এগিয়ে গেল ঝোপের কাছে, মোবাইলের টর্চে খোজ করলো ছায়ামূর্তির, না কেউ নেই এখানে।
.
হঠাৎ আবারো হাড় ভাঙ্গার কট কট শব্দ, মনে হচ্ছে কুকুরে কোন হাড় খাচ্ছে। ওমর খালেদের রেখে একাই একটু সামনে গেল হঠাৎ চোখে পড়লো এক বিভৎসো চিত্র , এক শুভ্রকেশী বুড়ি, বয়স শতবর্ষের কম নয়, বয়সের রথের চাকায় চেহারাখানি ধুমরে মুচড়ে গেলেও যৌবনে যে এক অপরুপ সুন্দরী ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বুড়ি একটি সদ্যজাত বাচ্চা কামড়ে খাচ্ছে!আর গোঙ্গানি দিচ্ছি, বাচ্চাটি অবিরাম কান্না করছে। এ দৃশ্য দেখে সাহসী ওমরের অন্তরে কম্পন সৃষ্টি হলো, ভয়ে রক্ত হিমশীতল হয়ে উঠলো, দ্রুত স্থান ত্যাগ করে ফিরে এলো খালেদদের যেখানে রেখে গিয়েছো সেখানে। কিন্তু একি, খালেদ, তাইফা কেউ নেই। এবার আরো বেশী ভয় পেল ওমর। ভয়ে গলা শুকিয়ে গেল ওরা। কিছুক্ষণ ডাকাডাকি করেও কোন হদিস পেলনা খালেদের। কোথায় গেল ওরা??
.
খালেদ কে খুঁজতে খুঁজতে খানিক সামনে গেল ওমর! ঝোপারে মাঝে কি যেন নরে উঠলো, মোবাইলের টর্চ জ্বালাতেই দেখতে পেল একটি কালো কুচকুচে বিড়াল দৌড়ে বেরিয়া আরেকটি ঝোপে ঢুকলো। হয়তো বুনো বিড়াল হবে।
.
রাত ১২ টা ছুই ছুঁই, থেমে গেছে পাখিদের কিচিঁর মিচিঁর কোলাহল, চারদিকে সুনশান নিরবতা। এখনো খুঁজে পাওয়া গেল না খালেদ তাইফাদের।
ক্লান্ত ওমর ধপ করে বসে পরলো একটি শিমুল গাছের নিচে। হঠাৎ মর মর শব্দে সমস্ত ক্লান্তি কর্পূরের মত উবে গেল ওমরের। পিছনে ফিরে তাকাতেই দেখতে পেল একটি গাছ ভেঙে মুখ থুবরে পরে আছে। ঝড় নেই বাতাস নেই হঠাৎ এমন ভাবে গাছ ভাঙ্গাতে ওমরের মনে আরো বেশী ভয় ঢুকে গেল, উঠে দ্বারালো ওমর। জঙ্গলের ভিতরে একটু সরু রাস্তায় উঠল সে, এ পথ ধরেই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে যাওয়া যাবে বাড়িতে। খানিক পথ চললো ওমর, হঠাৎ দেখতে পেল ১০/১২ জন যুবক হুজুর রাস্তা ধরে এগিয়ে আসছে, সাহস ফিরে এলো ওমরের মনে। জোর গালায় হাঁক ছাড়লো কারা যায় গো? কয়েকবার ডাকলো, কিন্তু নিরুত্তর, মনে হয় সবাই বধির। ওমর তাদের কাছাকাছি হতেই দেখতে পেল সকলের পরনে সাদা জুব্বা মাথায় গোল টুপি, চোখের মাঝে জ্বলন্ত আঙ্গার বসানো। ধ্বিক ধ্বিক করে জ্বলছে। কেমন যেন পোড়া গন্ধ আসছে। কাপালের মাঝ বরাবর সকলের একই ধরনের চিহ্ন, যেমনটি লাশ দুটির কপালে ছিল, ছ্যাৎ করে উঠলো ওমরের আন্তর। দৌড় দিল ওমর। ওমর কে অনুসরণ করলো জুব্বাওয়ালারা, অনেকক্ষন দৌড়ানোর পর ওদের নাগালের বাইরে গেল ওমর। ধপ করে বসে পরলো ওমর, হঠাৎ কারো পা ছুটাছুটির শব্দ সেই সাথে গোঙ্গানি। উঠে দ্বারালো ওমর হাত পা কাঁপছে তার। একটু সামনে এগুতেই দেখতে পেল এক বিভৎসো চিত্র, খালেদ রশি হীন ঝুলে আছে একটি গাছের সাথে, পা দুটি জমিন থেকে ২ হাত উপরে। অন্ধকার হয়ে এলো ওমরের দুনিয়া। কাছে যেতেই বুঝতে পারলো খালেদ মারা গেছে, খালেদের কপালেও সেই একই ধরনের ভয়ঙ্কর চিহ্ন। খালেদ বুঝতে পারলো এতক্ষণ যা হয়েছে সব কিছুর যোগসুত্র এক। খালেদের লাশ পেলেও তাইফার কোন খোঁজ পেল না ওমর। হঠাৎ মেয়েলী অট্টহাসি। পিছনে ফিরে তাকলো ওমর। তাইফা দ্বারিয়া আছে ওমরের সামনে! কিন্তু আগের তাইফার সাথে এ তাইফার তফাৎ অনেক।চোখ দুটি জ্বলন্ত আঙ্গার হয়ে আছে, মুখের ভিতর থেকে বেরিয়ে এসেছে সুচালু দুটি দাঁত। মুখের একপাশ পোড়া, কপালের মাঝ বরাবর সেই চিহ্ন। অট্টহাসিতে মুখ থেকে বেরিয়ে আসছে অগ্নি লাভা। এতক্ষণে বুঝতে পারলো তাইফা মানুষ নয়, কোন অশুভ আত্বা! নয়তো দুষ্ট পরী। প্রথমের দেখা দুটি লাশ তারপর শুভ্রকেশী বুড়ি জুব্বাওয়ালা যুবক সব তাহলে তাইফা নামের পিচাশীনিরই সৃষ্টি??
.
পালাতে চেষ্টা করলো ওমর, কিন্তু পারলো না, পিছনে ফিরে তাকাতেই দেখতে পেল সেই জুব্বাওয়ালারা, রক্ত চক্ষু মেলে এগিয়ে আসছে ওমর কে ধরতে, বামে দৌর দিতেই থেমে গেল ওমর, দেখা মিললো সেই লাশ দুটির, দ্বারিয়ে আছে তরতাজা লাশ, রক্ত গরিয়ে পরছে টপ টপ করে। চাহনিতে লাশ দুটির ওমর কে ধরার অপেক্ষা। ডান দিকে তাকাতেই সেই শুভ্রকেশী মানুষ খেকো বুড়ি দ্বারিয়ে আছে, তখনো সে কারো মাথা কট কট করে খাচ্ছে! ওমরের সামনে ভেসে উঠলো অন্তিম যাত্রা পথ, কিছুক্ষণ আগে যে পথে চলে গেছে তার প্রিয় বন্ধু খালেদ! এ এমন এক পথ যে পথ কেউ একবার ধরলে আর ফিরতে পারে না।
ওমরের সামন নিকোশ কালো অন্ধকার। সুবহে সাদিক হবার এখনো অনেক সময় বাকি। ছটফট করছে ওমর, মরন যন্ত্রণায় ছটফট করছে সে, তাকে ঘিরে পিশাচীনের চলছে নিষ্ঠুর নৃত্য!
.
হাত পা ছুটাছুটি আর গোঙ্গানির শব্দে ঘুম গেলে গেল ওমরের মায়ের! দৌরে প্রবেশ করলো ওমরের ঘরে, ওমর তখনো ঘুমের ঘোরে হাত পা ছুটছুটি আর গোঙ্গানি দিচ্ছে জোরে জোরে। শারা শরীর ঘামে ভিজে একাকার। মনে হচ্ছে কেউ বুঝি এই মাত্র এক বালতি পানি ঢেলে দিয়েছে ওমরের বিছানায়। মা বুঝতে পারলো ওমর ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্ন দেখতেছে, ধাক্কা দিলো ওমরের গায়ে। ঘুম ভেঙ্গে মাকে দেখেই জরিয়ে ধরে হাউমাউ করে কাদতে লাগলো ওমর। কি হয়েছে?? এত ভয় পাচ্ছিস কেনো রে? ওমর কে মায়ের জিঙ্গেসা। মা ওরা আমাকে খেয়ে ফেলবে, খালেদ কে ওরা মেরে ফেলেছে, মা আমাকে বাচাঁও মা। আমাকে বাচাঁও। অবাধ্য সন্তান কে বাধ্য করার একটি মওকা পেল ওমরের মা, মনে মনে ভাবলো আল্লাহ আমার দোয়া হয়তো কবুল করেছে। আমার ওমরকে এবার নিশচয় সৎপথে আনতে পারবো। ওমরের মা ভাবছে আনমনে। ওমর বলেই যাচ্ছে মা আমাকে বাঁচাও মা। ওমরের মা এবার বললো, বাঁচা মরার ক্ষমতা তো আমার হাতে নেই বাবা, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করছেন তিনিই তোমাকে বাঁচাতে পারেন, বিপদে পারেন তিনিই তোমাকে উত্তম সাহায্য করতে, তাকেই ডাকো তুমি। তার আনুগত্য করো।তাকে কোথায় পাবো মা? কিভাবে ডাকবো তাকে, তার অনুগত হবো কিভাবে?
.
ওমরের পেরেশানি তখনো কমেনি, চোখেমুখে আতংকের ছাপ স্পষ্ট। ওমরের মা বলতেছে, তাকে পেতে হলে তার কথামত জীবন চলতে হবে, তার নাফরমানী করা যাবে না কোন ভাবেই, রাত জেগে নেশা করা, সারাদিন মেয়েদের পিছনে এতিমের মত ঘুর ঘুর করা থেকে শুরু করে যাবতীয় অবৈধ কাজ ছেড়ে দিতে হবে এখন থেকেই। নিয়মত ৫ ওয়াক্ত হাজিরে দিতে হবে তোমার মহান রবের দরবারে।
আমি সব করতে রাজি মা কিন্তু কিভাবে আমি রবের হুকুম আহকাম জানবো, কিভাবে জানবো কোনটা বৈধ্য কোন টা অবৈধ কাজ??
তোমাকে এসব জানতে হলে পড়তে হবে আল-কুরআন এবং নবীজির হাদিস। বৃহত্তর জানার জন্য পড়তে হবে ইসলামী সাহিত্য।
.
হঠাৎ চারদিকের নীরবতা ভেঙ্গে মুয়াজ্জিনের কন্ঠে শোনা গেল ভেসে আসছে মসজিদের উচু মিনার থেকে আজান। আজানের মধুর ধ্বনী কেঁপে কেঁপে মিলিয়ে যাচ্ছে নিঃসীম নভোমন্ডলের ইথার কণায়। মোয়াজ্জিন ডাকলো হাইয়াআলচ্ছলাহ...। ওমরের মন ছুটে গেল মসজিদে….