একটি আওয়ামী মনস্তত্ত্ব : বাবলা ভাইরাল হননি কেন?
– জসিম মুহাম্মদ রুশনী
সিলেট এমসি কলেজের ক্যাম্পাসে স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রীকে কেড়ে নিয়ে ছাত্রলীগনেতাদের গণধর্ষণের কাহিনী বেশ চাউর হয়েছে। সারাদেশের ধিক্কার কুড়িয়েছে গোটা সংগঠন। বিরুদ্ধবাদী শক্তি ছাত্রলীগকে ধর্ষকলীগও বানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ছাত্রলীগ কিংবা আওয়ামী লীগ অভিযোগের বিষয়ে যৌক্তিক কোনও কথা না বলে সেই গড়পড়তা অতীত টেনে টেনে ভূতের কেত্তন করেছে। অথচ এদের হাতে উপস্থাপনের মতো ভালো একটি ঘটনাও ছিলো। বিস্ময়করভাবে সেটা তারা ইগনোর করেছে।
বলছি সাবেক ছাত্রলীগনেতা অমিত গুহ চৌধুরী প্রসঙ্গে। সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অমিত বাবলা ভিকটিমকে যেভাবে সহায়তা করেছেন তা অন্যকোনও দলের কেউ করলে সেটা লাখ লাখ ফেসবুক আইডি থেকে শেয়ার হতো। কিন্তু বিস্ময়করভাবে ছাত্রলীগ বাবলা চৌধুরীকে তাদের ইমেজ ফেরানোর কাজে ব্যবহার করেনি।
আরও পড়ুন—লিসার কল্পচিত্র
এই বিষয়টাতে একটা মনস্তত্ত্ব আছে। ভিকটিমকে সহায়তাকারী বাবলার ফেসবুক আইডিতে কোনও হাই প্রোফাইল আওয়ামীনেতার সাথে তাঁর কোনও সেলফি খুঁজে পেলাম না৷ এটা দেখে আন্দাজ করছি – তাঁর সাথে হালের বড়ো নেতাদের উঠাবসা কম। তাই ছাত্রলীগও বাবলাকে নিয়ে মেতে ওঠেনি, হয়তো মেধায়ও কুলোয়নি।
প্রশ্নটা করছি আওয়ামী লীগকে – আপনারা ভালো মানুষদের সামনে আনেন না কেন? উত্তরটাও আমি বেশ ভালো করেই জানি। ভালো ও মেধাবী রাজনীতিকর্মীরা কারও তোষামোদী করেন না। কিন্তু আওয়ামী লীগের দরকার মোসাহেব। অপ্রিয় হলেও সত্য যে আজকের ছাত্রলীগে অসৎ মানুষদের বখাটে সন্তানদেরই দাপট। তাই এই ছাত্রলীগ ভালোদের মূল্যায়নও করে না।
আপনি এটাও পড়তে পারেন—মৃৃৃৃৃতের জন্য কুরআন খতম করা যাবে কি?
আওয়ামী লীগ ডুববে এই নষ্ট ছাত্রলীগারদের কারণে। এরা আওয়ামী লীগকে পঞ্চাশ বছরের জন্য পতিত না করে ছাড়বে না।
আমিও সাবেক ছাত্রলীগার। তাই সঙ্গতঃ নিয়মেই বাবলা চৌধুরীর বিষয়টা ভালো লেগেছে। বাবলাকে দেখে আমার সোনালী অতীতের ছাত্রলীগটা মনের পর্দায় ভেসে ওঠেছে। সে পর্দায় আরও দেখলাম – গণরোষের কাছে পরাজিত আওয়ামী লীগকে খাঁদ থেকে টেনে তোলবার জন্য আগামীর আওয়ামী লীগ বাবলাদের মতো সাবেক ছাত্রনেতাদের পায়ের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে। আমি এখন সেই পতিত আওয়ামী লীগের জন্যই ক্ষণ গুনছি। আজকের আওয়ামীরাও সম্ভবতঃ এটাই চায়।
(জসিম মুহাম্মদ রুশনী // শিক্ষক, কবি ও কলামিস্ট)
Thanks
Good Job
Nice