আগাছার ন্যায় ধর্ষক নির্মূল এখন সময়ের দাবি!
সুন্দর একটি বাগান যেভাবে অবাঞ্চিত আগাছা বৃদ্ধির ফলে তার সৌন্দর্য হারিয়ে বিলীন হয়ে যেতে পারে। তেমনি সভ্য সমাজে ধর্ষকের উপস্থিতিও যেন সকল শান্তি বিনষ্ট করে নানা ধরনের অনাকাঙ্গিত সমস্যা ও বিশৃঙ্গল পরিস্থিতির জন্ম দেয়। যা শান্তিপূর্ণ সমাজ সৃষ্টির ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায়। মুক্তমনা বাঙ্গালী নারীদের নিরাপত্তা ও অস্তিত্বের চাষের সংগ্রামে বিরুপ প্রভাব সৃষ্টি করে।
আজকাল আমাদের সমাজ ও সমাজ ব্যবস্থায় বিভিন্ন ধরনের আগাছা লক্ষনীয় মাত্রায় বৃদ্ধি পেতে দেখা যাচ্ছে। যার মধ্যে ধর্ষকের উদ্ভব হলো অন্যতম। দৈনিক পত্রিকাগুলো খুললেই যেখানে কোনো না কোনো ধর্ষণের ঘটনাই প্রথমে চোখে পড়ে। বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ! স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ! গীর্জায় ফাদারের হাতে শিশু ধর্ষণের মতো ন্যাক্কারজনক সব ঘটনাগুলো উদ্বেগজনক হারে প্রতিনিয়ত যেন বেড়েই চলেছে। কিন্তু বিগত সকল ধর্ষকের শাস্তি যদি নিশ্চিত করা হতো তাহলে হয়তো সমাজে এত ধর্ষকের মতো আগাছা বেড়ে উঠতো না!
সময় থাকতে এখন আগাছা নির্মূল করায় হোক প্রধান লক্ষ্য। তা নাহলে অবস্থা হয়তো আরো খারাপ হতে পারে। আগাছা বৃদ্ধি পেলে জমিতে যেভাবে রোগজীবানু, পোকামাকড় প্রভৃতির আশ্রয়ের স্থান বৃদ্ধি পায়। তেমনি ধর্ষকদেরকেও বিচারের আওতায় এনে বিচার না করলে এদেশে তাদের সংখ্যাও হয়তো ক্রমান্বয়ে আরো বৃদ্ধি পেতে পারে! অতএব, সমাজে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্যে আগাছার ন্যায় ধর্ষক নির্মূলও যেন এখন সময়ের দাবি।
মোফাজ্জল হোসাইন
শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।