চালু হলো ফেসবুকের বিকল্প সোস্যাল মিডিয়া মেভবুক

চালু হলো নতুন  স্বপ্ন নিয়ে আসছে ফেসবুকের বিকল্পে অশ্লীলতা মুক্ত মেভবুক সোশ্যাল মিডিয়া। বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় অ্যাপ্স ফেসবুকের বিকল্প হিসেবে আজ (১ জানুয়ারি ২০২১) থেকে বাংলাদেশের একঝাঁক তরুণদের নব উদ্যোগে সম্পুর্ন অশ্লীলতামুক্ত ম্যাভবুক নামের একটি আন্তর্জাতিক মানের সোশ্যাল মিডিয়ার আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে।

বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে ইন্টারনেট জগতে স্বনির্ভর করার জন্যই এগিয়ে এসেছে দেশের উদীয়মান এসব তরুণ উদ্যমী দামাল ছেলেরা। ফেসবুকের বিকল্প হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাওয়া মেভবুক নামের এই সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানির উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, আমরা সারা বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশকে ভার্চুয়াল জগতে স্বনির্ভর করতে চাই এবং তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা সব রকম ‌প্রস্তুতিও নিয়েছি। ইনশা-আল্লাহ্ আমরা আশাবাদী আগামীতে বাংলাদেশ বিশ্ববাজারে অর্থনৈতিক দৌড়ে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে এবং দেশের টাকাগুলো বিদেশে না গিয়ে দেশেই থেকে যাবে।

উদ্যোক্তারা আরো বলেন, পুরো বিশ্বব্যাপী গ্লোবালাইজেশনের ফলে মানুষ এখন অনেক বেশি পরিমাণে ইন্টারনেট মুখি হচ্ছে। ঠিক একারণেই বিশ্বের মোড়ল রাষ্ট্রগুলো এক ধরনের প্রচ্ছন্ন প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে যে, ইন্টারনেট ব্যাবহারের মাধ্যমে কে কত বেশি পরিমাণ টাকা আয় করতে পারেন। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ২০১৯ সালে ফেসবুক কোম্পানি শুধু বাংলাদেশ থেকেই ১২ হাজার কোটি টাকা আয় করেছেন।

এভাবেই ফেসবুক প্রতি আড়াই বছরে বাংলাদেশ থেকে একটি পদ্মাসেতু নির্মাণের সমপরিমাণ টাকা আয় করছে। এছাড়াও টিক টক-ইনস্টাগ্রাম হোয়াটসঅ্যাপের মত অ্যাপস গুলোও বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর কোটি কোটি আয় করছে। এদিকে ম্যাভবুক কোম্পানি কর্তৃক অবগত হলাম যে, এই ম্যাভবুক সোশ্যাল মিডিয়ার লক্ষ্য উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেছেন, বাংলাদেশকে ভার্চুয়াল জগতে স্বনির্ভর হওয়া উচিত। যাতে করে বাংলাদেশকে কারোর দ্বারস্থ না হতে হয়।

এ ক্ষেত্রে আমরা বিশ্বের উদীয়মান অর্থনৈতিক পরাশক্তি চীনকে আইডল হিসেবে বেঁছে নিয়েছে। কারণ চীনে রয়েছে ‘চীনা ফেসবুক’ খ্যাত উইচ্যা‌ট। চীনের ইন্টারনেট জগতে উইচ্যাটের ম‌তো আর কোনো কিছুরই তাদের কাছে এতো গুরুত্ব নেই। ইনশা-আল্লাহ্ আমরা মেভবুক কোম্পানি

Mevbook এ্যপসকে বাংলাদেশী ফেসবুক বা বাংলাদেশী উইচ্যাটরূপে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। তিনি আরো বলেন, বিশ্বের আরেকটি জনপ্রিয় অ্যাপ্স গুগলও বন্ধ রয়েছে চী‌নে। সারাবিশ্বের মানুষ যেখানে তথ্যভান্ডার হিসেবে গুগলে খোঁজে।সেখানে চীনারা ব্যবহার করছে তাদের নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন বাইডু।‌ ইনশা-আল্লাহ্ মেভবুক কোম্পানিও ‘বাংলাদেশী গুগল হিসেবে’ MevAsk নামে সার্চ ইঞ্জিন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি আরো বলেন বহির্বিশ্ব বা চীনের ভেতরে ই-কমার্স সাইট হলো আলিবাবা। এটি এত জনপ্রিয় যে অ্যামাজনের মতো কোম্পানিরও এখানে ঠাঁই নেই। আমরাও মেভবুক কোম্পানির Mevmart নামে দেশীয়, জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট প্রতিষ্ঠা করছি। এবং এছাড়া আমরা লাইকি,টিকটকের মত বিদেশি এ্যপসকে প্রতিযোগিতায় হারিয়ে দেশীয় ভিডিও শেয়ারিং এ্যপস Mevjup নির্মাণ করেছি, এবং পাশাপাশি আমরা হোয়াইটএ্যপ, ইমু, টেলিগ্রামের বিকল্প হিসেবে Mevchat এ্যপসও নির্মাণ করেছি। এবং এছাড়াও আমরা এই কোম্পানির নিজস্ব নিউজ ভিত্তিক ওয়েবসাইট Mevtimes.com নির্মাণ করেছি। আমাদের এই মেভবুক কোম্পানিটি হচ্ছে একটি আপকামিং স্যোসাল মিডিয়া এ্যপ্স। এই মেভবুক এ্যপ্সে মানুষ ফেসবুক – ইনস্টাগ্রাম লিঙ্কদিন, মেসেঞ্জার সহ বিভিন্ন এ্যপ্সের মিশ্রিত ফ্লেভার পাবে। এতে আছে গেমস,বিজনেস,ইভেনটস,মার্কেটপ্লেস,ফোরাম,জব,অডিওভিডিও,লাইভ,পোল, আর্টিকেল শেয়ারের মত মজাদার ও গুরুত্বপূর্ণ অনেক ফিচার। এখানে থাকবে না কোনো অসামাজিকতা,অশ্লীলতার বিষবাষ্প, থাকবে গ্রাহকদের ডাটা সুরক্ষিত থাকার পূর্ণ নিশ্চয়তা। এছাড়াও মেভবুকে থাকছে প্রো-মেম্বারশীপ সুবিধা,থাকছে ব্লগ সেকশন,নিজস্ব আর্টিকেল প্রকাশের সুযোগ। ডিজিটাল মার্কেটিং সহ দারুন সব ফিচার নিয়ে চালু হচ্ছে সম্পূর্ণ দেশীয় সোশ্যাল মিডিয়া সাইট মেভবুক৷ এই এ্যপসের মেসেঞ্জারের নাম Mevmanager। ইনশা-আল্লাহ্ এই দুটি এ্যপস আমরা আগামী পহেলা জানুয়ারি লঞ্চ করবো। তখন থেকেই মেভবুক পাওয়া যাবে Play Store সহ বিভিন্ন Apps Store।এছাড়া পহেলা জানুয়ারি রাত ৯ঃ৩০ মিনিটে মেভবুকের অফিসিয়াল পেইজ www.facebook.com/mevbook থেকে গ্রান্ড ওপেনিং সেরেমনি লাইভ করা হবে, আমরা সবাইকে আওয়ার টাইমস্ নিউজের মাধ্যমে আমাদের এই লাইভ দেখার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। এছাড়া আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ধাপে ধাপে Mevmart, Mevjup,Mevchat,Mevask এর মত প্রোডাক্ট গুলোও লঞ্চ করা হবে ইনশাআল্লাহ। ম্যাভবুকের চেয়ারম্যান তানভীর কামাল ভাই জানিয়েছেন, ম্যাভবুকের উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে ওয়েব ডিজাইনার, ডেভলপার, প্রোগ্রামার সকলেই বাংলাদেশী। যদিও মুক্তবাজারের এই অর্থনীতিতে বাংলাদেশে হয়তো চীনের মত বিদেশি এ্যাপ্স বন্ধ করা সম্ভব না। তবে আমাদের বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ যদি তাদের এই তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ফেসবুকের বিকল্প হিসেবে নতুন সপ্ন নিয়ে আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাওয়া অশ্লীলতা মুক্ত নব এই সোশ্যাল মিডিয়া মেভবুককে হাত ধরে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে, তাহলে আমাদের উদ্যোক্তাদের বিশ্বাস ইনশা-আল্লাহ্ মেভবুকের হাত ধরে বাংলাদেশও বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাবে সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে!

1 thought on “চালু হলো ফেসবুকের বিকল্প সোস্যাল মিডিয়া মেভবুক”

Leave a Comment