আবরারুল হক মুয়াজ। বয়স মাত্র আট বছর পেরিয়েছে। এ বয়সেই বাবার কাছে হেফজ পড়ে পুরো কোরআন মুখস্ত করে বিস্ময় জাগিয়েছে। পরিবারের সবাই তাকে নিয়ে আনন্দিত।
মুয়াজ কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানাধীন ছিলনী গ্রামের হাফেজ মাওলা মাহবুবুর রহমানের ছেলে। হাফেজ মুয়াজ বর্তমানে কিশোরগঞ্জ শহরের উকিলপাড়ায় অবস্থিত মাদরাসায়ে দ্বীনিয়্যাহর ছাত্র।
তার বাবা হাফেজ মাওলানা মাহবুবুর রহমান আওয়ার ইসলামকে জানান, মুয়াজকে নিয়ে একদিন ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদ প্রাঙ্গনে প্রতিবছর অনুষ্ঠিতব্য হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় যাই।
মুয়াজ সেখানে ছোট ছোট বাচ্চাদের কোরআন তেলাওয়াত তন্ময় হয়ে শোনেন। বাসায় এসে বাবা-মা কে খুব দ্রুতই সে হাফেজ হবে বলে আশ্বস্ত করেন। পবিত্র কোরআনুল কারীম হেফজ শুরু করার কিছুদিন পরেই বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যায়। কিন্তু থাকেনি মুয়াজ।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সময়টাতে বাসায় তার মায়ের কাছে পড়তে থাকে কুরআনুল কারীম। তার রত্নগর্ভা মা একজন হাফেজা ও আলেমা। এভাবেই সে আজ হাফেজ হয়ে আমাদের গর্বিত করে।
তিনি আরও বলেন, মুয়াজের হাফেজ হওয়ার পিছনে তার মায়ের অসামান্য অবদান রয়েছে। তার মা একজন তাহাজ্জুদ গুজারি, তার মা মুয়াজকে কোলে নিয়ে নিয়মিত কোরআন পড়তেন। মুয়াজ তন্ময় হয়ে শুনত।
মুয়াজের অল্প বয়সে হাফেজ হওয়া নিয়ে আনন্দিত ছিলনী গ্রামবাসীও। হাওরের কাঁদা মাটিতে জন্ম নেয়া মুয়াজ গ্রামের গৌরব এনেছে বলে মন্তব্য করেন গ্রামের বাসিন্দারা। একজন আদর্শবান হাফেজ হিসেবে যেন মুয়াজ সর্বদা দ্বীনের খেতমত করতে পারে এ জন্য মুয়াজের পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে।