ডামুড্যায় ট্রলার থেকে নদীতে পড়ে যাওয়া যুবকের লাশ উদ্ধার
মুহাম্মদ আবু সুফিয়ান আল মাহমুদ
শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যায় ব্লোক বোজাই ট্রলার ব্রিজের পিলারের সাথে ধাক্কা লেগে জয়ন্তী নদীতে পড়ে নিখোঁজের দুই দিন পর লাশ উদ্ধার করেছে ডামুড্যা থানা পুলিশ। নিহতের নাম মাসুদুল রহমান (৩৫)।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জয়ন্তী নদীতে ঠেঙ্গার বাড়ির সামনে থেকে ওই শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
বুধবার (৩১ মার্চ) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে জয়ন্তী নদীর ধানহাটা এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
এর আগে বুধ ও বৃহস্পতিবার ডামুড্যা ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী ডুবুরি দল না থাকায় বরিশাল থেকে ডুবুরি দল এসে তাকে খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়।
নিখোঁজ মাসুদুল রহমান (৩৫) নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার নাওতোরা ৭ নং খালিশা চাপানী গ্রামের আহমেদ পাগলীর ছেলে। তার তিন ছেলে।
ডামুড্যা থানার ওসি তদন্ত এমারাত হোসেন জানান, দুই দিন যাবৎ ডুবুরি দল খোঁজাখুজি শুরু করে আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থলের ১ কিলোমিটারের মধ্যে ঠেঙ্গার বাড়ির সামনে হঠাৎ লাশটি ভেসে উঠার পর নিখোঁজ শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ পরিবারের আবেদনের মাধ্যমে ময়নাতদন্ত ছাড়াই, তার পরিবারে পৌঁছে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, ডামুড্যা পৌরসভার শহর রক্ষা বাধের কাজ চলছে। এই নদীর তীরের বাধে ব্লোক দেওয়া হচ্ছে। ব্লোকগুলো দূরে তৈরি হওয়ার কারণে ট্রলারে করে ব্লোক আনা হয়। বুধবার ট্রলারটি ধানহাটা নামক স্থানে আসলে অপর পাশ থেকে আসা ট্রলার কে সাইড দিতে গিয়ে ব্রিজের পিলারের সাথে ধাক্কা লাগে। ধাক্কার সাথে সাথে ট্রলারের সামনে থাকা মাসুদুল নদীতে পড়ে যায়। ট্রলারে থাকা শ্রমিকরা তাকে খোঁজার জন্য নদীতে নেমে পড়ে। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। আজ ২ এপ্রিল তার মরদেহ জয়ন্তী নদী থানার সামনে ভেসে উঠে।