ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম ও নিয়ত এবং জরুরী মাসআলা

ঈদুল ফিতরের  নামাজের নিয়ম ও নিয়ত

 

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ ৷ সুপ্রিয় পাঠক! কেমন আছেন ? আপনাদের সবাইকে জানাচ্ছি শীর্ষবার্তা ডটকমের পক্ষ থেকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ৷ আপনি ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম ও নিয়ত সম্পর্কে জানতে নেটে সার্চ করেছেন ৷ আমরা ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম ও নিয়ত সম্পর্কে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ ৷ পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন ৷ ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম ও নিয়ত সম্পর্কে বিস্তারিত থাকছে ইনশাআল্লাহ ৷

ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম ও নিয়ত
ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম ও নিয়ত

মুসলিম উম্মাহর দোড় গোড়ায় কড়া নাড়ছে ঈদুল ফিতর। ঈদ মুমিনের উৎসব। দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর উপহার স্বরূপ বান্দা এ ঈদ পালন করে থাকে।

ঈদের অন্যতম আমল ঈদের নামাজ। এ নামাজ প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষদের ওপর ওয়াজিব করা হয়েছে। শীর্ষবার্তা ডটকমের পাঠকদের জন্য ঈদের খুঁটিনাটি তুলে ধরা হচ্ছে। আজ থাকছে ঈদের নামাজের নিয়ম।

আরো পড়ুন – অনলাইনে ইনকাম ২০২১- ঘরে বসে আয় করার সহজ উপায় 

ঈদের নামাজের নিয়ম:

প্রথমে মুখে বা মনে মনে নিয়ত করে নেবে, ঈদুল-ফিতর এর দু’রাকাত ওয়াজিব নামাজ অতিরিক্ত ছয় তাকবীরসহ ইমামের সঙ্গে পড়ছি। তাপর ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত বেঁধে নেবে এবং সানা পড়বে। তারপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় তাকবীরে কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে ছেড়ে দেবে এবং চতুর্থ তাকবীরে হাত উঠিয়ে বেঁধে নেবে। তারপর স্বাভাবিক নিয়মে প্রথম রাকাত শেষ করবে।

দ্বিতীয় রাকাতে ফাতিহা ও সূরা পাঠ শেষে ইমাম যখন তাকবীর বলবেন, তার সঙ্গে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তাকবীরে হাত কান পর্যন্ত উঠাতে হবে এবং ছেড়ে দিতে হবে। আর চতুর্থবার তাকবীর বলে হাত না উঠিয়ে সোজা রুকুতে চলে যেতে হবে। বাকিটুকু যথা নিয়মে শেষ করে খুতবা শুনে, দোয়া-মুনাজাত করে বাসা-বাড়িতে ফিরে যেতে হবে।

আরও পড়ুনঃ তাওবা করে কীভাবে? 

ঈদের জামাত সম্পর্কীয় মাসয়ালাঃ

 

মাসয়ালা: ইমাম সাহেব জুমার মতো দু’টি খুতবা দেবেন। তবে জুমার খুতবা দেওয়া ফরজ আর ঈদের খুতবা দেওয়া সুন্নত। কিন্তু ঈদের খুতবা শুনা ওয়াজিব। ওই সময় কথাবার্তা, চলাফেরা, টাকা উঠানো ইত্যাদি যেকোনো কাজ নিষেধ।

মাসয়ালা: ঈদের নামাজের পূর্বে মহিলা হোক কিংবা পুরুষ, বাড়িতে কিংবা মসজিদে অথবা ঈদগাহে নফল নামাজ পড়া মাকরূহ।

মাসয়ালা: সম্ভব হলে এলাকার সবাই একস্থানে একত্রে ঈদের নামাজ পড়া উত্তম। তবে কয়েক জায়গায় পড়াও জায়েজ।

মাসয়ালা: ঈদের নামাজ না পড়তে পারলে কিংবা নামাজ নষ্ট হয়ে গেলে তার কাজা করতে হবে না, যেহেতু ঈদের নামাজের জন্য জামাত শর্ত। তবে বেশকিছু লোকের ঈদের নামাজ ছুটে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে তারা অন্য একজনকে ইমাম বানিয়ে নামাজ পড়তে পারবেন।

মাসয়ালা: ১ শাওয়ালের দ্বিপ্রহরের পূর্বে শরিয়তসম্মত কোনো কারণে ঈদের নামাজ না পড়তে পারলে শাওয়ালের ২ তারিখে পড়ার অনুমতি আছে। এরপর আর নামাজ পড়া যাবে না।

মাসয়ালা: কেউ ইমাম সাহেবকে দ্বিতীয় রাকাতে পেলে সালামের পর যখন ওই ব্যক্তি ছুটে যাওয়া রাকাতের (প্রথম রাকাত) জন্য দাঁড়াবে তখন প্রথমে সানা (সুবহানাকাল্লাহুম্মা), তারপর আউযুবিল্লাহ এবং বিসমিল্লাহ পড়ে ফাতেহা ও কেরাতের পর রুকুর পূর্বে তাকবির বলবে। ফাতেহার আগে নয়।

মাসয়ালা: ইমাম তাকবির ভুলে গেলে রুকুতে গিয়ে বলবে, রুকু ছেড়ে দাঁড়াবে না। তবে রুকু ছেড়ে দাঁড়িয়ে তাকবির বলে আবার রুকুতে গেলেও নামাজ নষ্ট হবে না। বেশি লোক হওয়ার কারণে সহু সিজদাও দিতে হবে না।

 

ঈদুল ফিতরের নামাজের আরবি নিয়ত

 

প্রিয় বন্ধুরা ঈদুল ফিতরের নামাজের আরবি নিয়ত আপনাদের সুবিধার্থে নিচে দেওয়া হলো ৷

 

ঈদুল ফিতরের নিয়ত বাংলা উচ্চারণঃ

 

নিয়ত:- নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা রাকয়াতাই সালাতি ঈদিল ফিতরি, মায়া ছিত্তাতি তাকবীরাতি ওয়াজিবুল্লাহি তায়ালা ইকতাদাইতু বিহাযাল ইমাম, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

1 thought on “ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম ও নিয়ত এবং জরুরী মাসআলা”

Comments are closed.