আসালামুআলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আজকে আমরা আলোচনা করবো ”দোয়া মাসুরা” নিয়ে ইনশাআল্লাহ ।
দোয়া মাসুরা কখন পড়তে হয়?
অনে্কেই প্রশ্ন করে খাকেন হুজুর দোয়া মাসুরা নামাজের কখন পড়তে হয় ? দোয়ায়ে মাসুরা নামাজের দোয়া সমুহের মধ্যে একটি। এই দোয়া নামাজের শেষে পড়তে হয় । তাশাহুদ ,দরুদ শরীফ পড়ার পর দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফেরাতে হয়।এই দোয়া মুলত ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া
আরবীঃ
দোয়া মাসুরা বাংলা উচ্চারণ- Dua masura bangla
আল্লা-হুম্মা ইন্নী যলামতু নাফসী যুলমান কাসীরা। ওয়ালা ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা। ফাগফির লী মাগফিরাতাম মিন ‘ইনদিকা ওয়ারহামনী ইন্নাকা আনতাল গাফূরুর রাহীম ।
বাংলা অর্থঃ
হে আল্লাহ! আমি আমার নিজের ওপর অনেক যুলুম করেছি। আর আপনি ছাড়া গুনাহসমূহ কেউই ক্ষমা করতে পারে না। অতএব, আমাকে আপনার পক্ষ থেকে বিশেষ ক্ষমা দ্বারা মাফ করে দিন, আর আমার প্রতি দয়া করুন; আপনিই তো ক্ষমাকারী, পরম দয়ালু ।
দোয়া মাসুরা পড়ার নিয়মঃ
এই দোয়া মুলত একটি ক্ষমা প্রার্থনামুলক দোয়া । এই দোয়াটি আমরা নামাজেরর শেষে তাশাহুদ দরুদ শরিফ পড়ার পর সালাম ফিরানোর আগে পড়ে থাকি ।নামাযে নিয়ত বাঁধার পর সানা (সুবাহাকাল্লাহুম্মা) পড়তে হয় ।
এর পর সূরা ফাতিহা পড়তে হয় । তারপর সূরা ফাতিহার সাথে অন্য যেকোন সূরা মিলিয়ে পড়তে হয় । এরপর রুকুতে গিয়ে সুবহা-না রব্বিয়াল আ`যিম পড়তে হয় । এরপর রুকু থেকে উঠে সোজা হয়ে দাড়াতে হয় । তারপর সিজদায় যেতে হয়, সেজদায় সুবহা-না রব্বিয়াল আ‘লা পড়তে হয় । এভাবে দুই সেজদার পড় উঠে দাঁড়িয়ে হাত বাঁধতে হয় ।
আবার আগের নিয়মে সূরা ফাতিহা পড়ে, আগের মত করে পরের রাকাত শেষ করতে হয় । এভাবে যদি দুই রাকাত নামাজ হয়, তাহলে দুই রাকাত পড়ার পরে বসে আত্তাহিয়াতু পড়তে হয় । তারপর দুরুদে ইব্রাহিম পড়তে হয় । তারপর সালাম ফেরানোর আগে এই দোয়া পড়তে হয় ।
আরো পড়ুন –