গোসাইরহাট প্রতিনিধিঃ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর গোসাইরহাট উপজেলা সাভপতি মাওলানা আঃ কবিরসহ বিএনপি ও ছাত্র দলের ৭ জন নেতাকর্মী নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন আবেদন বাতিল করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন ৷
শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাটে মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১ টায় জামায়াতের প্রোগ্রাম থেকে ২০ নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করেছে গোসাইরহাট থানা পুলিশ। এ মামলায় তারা পলাতক ছিলো ৷
এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ টি সরকারি ডেল ল্যাপটপ, নিজস্ব রিপোর্ট বই ও বিভিন্ন সাংগঠনিক বই জব্দ করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলা রোকন সদস্য ফজলুর হক, সামন্তসার ইউনিয়নের জামায়াতে ইসলামের আমীর নুরুজ্জামান, বাউতুল মালের দায়িত্ব প্রাপ্ত মাইন উদ্দিন মাদবর, কার্যকরী সদস্য ইমতিয়াজ উদ্দিন, আবুল কালামসহ ২০ জামাত কর্মীকে আটক করা হয়।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও নাশকতার মামলায় বুধবার (৩১ মার্চ) দুপুরে শরীয়তপুর জেল হাজতে প্রেরণ করে গোসাইরহাট থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সামন্তসার ইউনিয়নের কবরস্থান নামক জায়গায় স্থানীয় আবুল কালাম হাওলাদারের বাড়িতে জামায়াত নেতা কর্মীদের সাংগঠনিক বৈঠক চলছে। এমন খবরে গোসাইরহাট থানার ওসি মোল্লা সোয়েব আলীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে ২০ জনকে আটক করে, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আরও ১১ জন পালিয়ে যায় ৷ ৩১ জনকে আসামী করে মঙ্গলবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেন গোসাইরহাট থানা পুলিশ।
তারা পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী পলাতক আসামী ছিলো ৷ আজ শরীয়তপুর নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত তা না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন ৷