অভিশাপ দেওয়া কি জায়েজ? অভিশাপ থেকে মুক্তির দোয়া

আসসালামু আলাইকুম, আজকে আমরা আলোচনা করবো অভিশাপ দেওয়া নিয়ে,  অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেন, অভিশাপ দেওয়া জায়েজ কিনা? অভিশাপ থেকে মুক্তির উপায়, মুক্তির দোয়া ইত্যাদি, তো অভিশাপ নিয়ে সমস্ত প্রশ্নের জবাব দেবার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। 

অভিশাপ শব্দের বাংলা-ইংরেজী অর্থ

অভিশাপ শব্দের অনেকগুলো  অর্থ হতে পারে ৷ যেমন, নির্বাসিত করা, নিষেধ, অভিশাপ, নিষেধাজ্ঞা, বারণ, বহিষ্কার, সমাজচু্যত বলিয়া ঘোষণা, নিন্দনীয় বলিয়া ঘোাষণা, নিষিদ্ধ করা, সামাজিক বয়কট, নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা, অভিশাপ দেওয়া, নিষেধাজ্ঞা জারি করা, অভিশাপ দেওয়া, প্রচার নিষিদ্ধ করা, নিষেধ করা, বহিষ্কৃত করা, প্রতিষেধ করা, বারণ করা ৷

 

ইংরেজীতে অভিশাপ শব্দের সমার্থক অনেকগুলো শব্দ রয়েছে

যেমন,
devil, ban, damn, deuce, woe, satan, satan, bane, darn, curse, denunciation, dickens, anathema, damnation, denouncement, execration, cuss, imprecation, malediction, malison, ban, damn, curse, denunciation, anathema, execration .

 

অভিশাপ কী?

অভিশাপ শব্দটির সাধারণ অর্থ হল দুঃখ বা রাগের কারণে অন্যের অনিষ্ট কামনা করা ।

অভিশাপ ক্ষতিকর কি না ?
অভিশাপ দিলে তা লাগে কিনা! ক্ষতিকর কিনা তা জানার আগে একটু চিন্তা করুন ৷ একটু ভাবুন ৷ কেউ কেন কাউকে অভিশাপ দেয় । অভিশাপ তো যে কাউকে দিয়ে দেওয়া হয় না । কোনো ব্যক্তি আপনার থেকে প্রচন্ড আশা রাখেন কিন্তু আপনি জেনেশুনে তার আশা ভঙ্গ করলেন বা তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলেন তখনই কেউ আপনাকে অভিশাপ দেয় । এক্ষেত্রে আমার মতে অভিশাপ ক্ষতিকারক ৷ কারণ যে ব্যাক্তি আপনার উপর প্রচন্ড আশা করেন তার বিশ্বাস ভাঙা পড়লে তার বিশ্বাস ভবিষ্যতে আপনি কখনোই জয় করতে পারবেন না ৷ আপনার পরিচিতি মহলে আপনার নামে একটা খারাপ খবর রটে যাবে ৷ অভিশাপের চেয়ে তো এগুলো বেশ ক্ষতিকারক ।

তাই এমন কাজ করা উচিত নয় যেটার ফলে কেউ আপনাকে অভিশাপ দেয় অর্থাৎ কেউ আপনার অনিষ্ট চায় ।

 

অভিশাপ দেয়া কি জায়েজ?

রাগে, ক্ষোভে কিংবা দুঃখে অগ্নিশর্মা হয়ে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অনেক সময় মানুষ অভিশাপ দিয়ে বসে। অপছন্দের লোকের প্রতি আল্লাহর গজব নেমে আসার অপেক্ষা করে। তার যেকোনো ধরনের ক্ষতি ও ধ্বংস কামনা করে। জালিমের ধ্বংস কামনা করে ৷ এমন একটি বাজে কাজ কিছু মানুষের অভ্যাসেও পরিণত হয়ে যায়। ইসলামের দৃষ্টিতে এসব সম্পূর্ণ হারাম ও অনুচিত।

কোনো মুসলমান অন্য মুসলমানকে অভিশাপ দেয়া সর্বাবস্থায় হারাম।
এমনকি নির্দিষ্ট কোনো অমুসলিমকেও লানত করা যাবে না, যতক্ষণ না কুফরি অবস্থায় তার মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত হবে।

হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘প্রকৃত মুসলমান সেই ব্যক্তি, যার জিহ্বা ও হাত থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে।

’ ( তিরমিজি, হাদিস নং: ২৬২৭; আবু দাউদ, হাদিস নং: ২৪৮১)

অপর মুসলমান কষ্ট পেতে পারে এমন কাজ করা কোনো মুসলমানের জন্য শোভা ‍পায় না। কখনো অজান্তে কাউকে কষ্ট দিয়ে ফেললে, বোঝার সঙ্গে সঙ্গে তার কাছে মাফ চেয়ে নেয়া উত্তম চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ।

তেমনিভাবে কারো কাছ থেকে কোনো জুলুমের শিকার হলেও তাকে ক্ষমা করে দেয়াই মহৎ চরিত্রের পরিচায়ক।

অভিশাপ দেওয়া সম্পর্কে হাদিসঃ

হাদিসে এসেছে, ‘রাসুল (সা.) বলেছেন, যে তোমার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে, তুমি তার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করো, যে তোমাকে বঞ্চিত করে, তুমি তাকে তুষ্ট করো, যে তোমার প্রতি জুলুম করে, তুমি তার সঙ্গে উত্তম ব্যবহার (ক্ষমা) করো।

(মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং: ১৭৩৩৪)

তেমনিভাবে কাউকে অভিশাপ দেয়াও কোনো মুমিনের জন্য শোভনীয় নয়। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন কখনো অভিসম্পাতকারী হয় না। ’ (তিরমিজি, হাদিস নং: ২০৮৮)

রাসুল (সা.) আরো বলেছেন,  ‘তোমরা পরস্পর আল্লাহর লানত, তার গজব ও জাহান্নামের অভিশাপ দেবে না। ’ (তিরমিজি, হাদিস নং: ১৯৮৬)

অভিসম্পাতকারী আখেরাতেও মান-মর্যাদা পাবে না। রাসুল (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন অভিশাপকারীরা সুপারিশ করতে পারবে না এবং সাক্ষ্যপ্রদানও করতে পারবে না। (মুসলিম, হাদিস নং: ২৫৯৮)

এ সব হাদিস দ্বারা এ কথা সহজেই অনুমেয় হয় যে- অন্যায়ভাবে কাউকে অভিশাপ দেয়া অত্যন্ত গর্হিত কাজ। প্রিয় নবী (সা.) অভিশাপ ও অভিশাপকারীকে পছন্দ করেননি।

অভিশাপ উল্টো নিজের দিকে ফিরে আসে

যারা কথায় কথায় অভিশাপ দেন তাদের জানা থাকা দরকার যে এটি উল্টো তার ঘাড়ে এসেও পড়তে পারে ৷ রাসুল (সা.) বলেছেন, যখন কোনো বান্দা কোনো ব্যক্তিকে অভিশাপ দেয়, তখন অভিশাপ আকাশে চলে যায়, আকাশের দরজাগুলো তার জন্য বন্ধ হয়ে যায়, অতঃপর তা জমিনের দিকে  নেমে আসে।

তখন জমিনের দরজাগুলোও তার থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়, অতপর তা ডানে বাঁয়ে ঘুরতে থাকে, যখন কোনো  উপায় না পায়, তখন যাকে অভিসম্পাত করা হয়েছে, সে যদি এর যোগ্য হয়, তাহলে তার প্রতি পতিত হয়। অন্যথায় অভিশাপকারীর দিকেই ধাবিত হয়। (আবু দাউদ, হাদিস নং: ৪৯০৭)

ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে অন্য হাদিসে এসেছে, এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর বাতাসকে লানত (অভিশাপ) দিল, তখন নবীজি বললেন, বাতাসকে লানত দিও না, কেননা এ তো আল্লাহরপক্ষ থেকে নির্দেশিত। কেউ যদি কোনো বস্তুকে লানত বা অভিশাপ দেয়, আর সে যদি ওই লানতের পাত্র না হয়, তাহলে সেই লানত লানতকারীর দিকেই ফিরে আসে। (তিরমিজি, হাদিস নং: ১৯৭৮; আবু দাউদ, ২/২৭৬)

বোঝা যায়, যে লানত বা অভিশাপ দেবে সে যদি অভিশাপের উপযুক্ত না হয়, তাহলে এই অভিশাপ তার দিকে যায় না। বরং অভিশাপকারীর দিকেই প্রত্যাবর্তিত হয়। এ জন্য অভিশাপ দেয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া চাই। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সব অনিষ্ট ও বিপদাপদ থেকে রক্ষা করুন।

অভিশাপ থেকে মুক্তির উপায়

অভিশাপ দেয়া হারাম

নির্দিষ্ট ভাবে কোনও ব্যক্তির উপর অভিশাপ দেওয়া জায়েজ নেই-চাই সে মুসলিম হোক অথবা অমুসলিম হোক। কেননা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:
سَالِمٌ عَنْ أَبِيْهِ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنْ الرُّكُوْعِ فِي الرَّكْعَةِ الْآخِرَةِ مِنَ الْفَجْرِ يَقُوْلُ : اللهُمَّ الْعَنْ فُلَانًا وَفُلَانًا وَفُلَانًا بَعْدَ مَا يَقُوْلُ سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ فَأَنْزَلَ اللهُ {لَيْسَ لَكَ مِنَ الْأَمْرِ شَيْءٌ} إِلَى قَوْلِهِ {فَإِنَّهُمْ ظَالِمُوْنَ} رَوَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ رَاشِدٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ.
সালিম (রহ.) থেকে বর্ণিত, তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে শুনেছেন যে, তিনি ফজরের সলাতের শেষ রাকআতে রুকু থেকে মাথা তুলে ‘সামি‘আল্লাহু লিমান হামিদাহ্ (আল্লাহ তাঁর প্রশংসাকারীর প্রশংসা শোনেন। হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার জন্য সমস্ত প্রশংসা)’, ‘রব্বানা ওয়ালাকাল হামদ’ বলার পর এটা বলতেনঃ হে আল্লাহ! অমুক, অমুক এবং অমুককে লানত করুন।

তখন আল্লাহ এ আয়াত অবতীর্ণ করলেনঃ لَيْسَ لَكَ مِنَ الأَمْرِ شَيْءٌ ….. فَإِنَّهُمْ ظَالِمُونَ “তিনি তাদের প্রতি ক্ষমাশীল হবেন অথবা তাদের শাস্তি দিবেন, এ বিষয়ে তোমার করণীয় কিছুই নেই। কারণ তারা জালিম।”(সূরা আলু ‘ইমরান ৩/১২৮)
[সহিহ বুখারী, অধ্যায়: তাফসীর, অনুচ্ছেদ: আল্লাহর বাণীঃ এই বিষয়ে আপনার করণীয় কিছুই নেই।]

এ হাদিস থেকে জানা গেল, আল্লাহ তাআলা নির্দিষ্টভাবে কোন কাফিরকেও অভিশাপ দেয়ার অনুমতি দেন নি।

এ মর্মে আরেকটা হাদিস:

উমর ইবনুল খত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তির নাম ছিল ‘আবদুল্লাহ, কিন্তু তাকে ‘হিমার’ (গাধা) উপাধিতে ডাকা হতো। সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে হাসাতো। একদিন মদপানের অপরাধের জন্য নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ওপর দণ্ড প্রয়োগ করেছিলেন।

এরপর আবার একদিন তাকে নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আনা হলে তিনি তাকে চাবুক মারার নির্দেশ করলেন। তখন এক ব্যক্তি বলে উঠল, হে আল্লাহ, এই লোকের উপর তোমার অভিসম্পাত হোক। কতবারই না তাকে এ অপরাধে আনা হল!
তখন নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন:
«لَا تَلْعَنُوْهُ فَوَ اللهِ مَا عَلِمْتُ أَنَّه يُحِبُّ اللّٰهَ وَرَسُوْلَه»
“তাকে অভিশাপ দিও না। আল্লাহর শপথ! আমি তার সম্পর্কে জানি যে, সে আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে ভালোবাসে।” (বুখারী)

এ হাদিসে দেখা গেলো ,প্রিয় নবি সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নির্দিষ্টভাবে একজন পাপী ব্যক্তিকে অভিশাপ দেয়ার অনুমতি দেন নি।

কখন অভিশাপ দেয়া জায়েজ?

অনির্দিষ্টভাবে পাপিষ্ঠ, কাফের-মুশরিক ও ইসলামের দুশমনদের ধ্বংস কামনা করা বা তাদেরকে অভিশাপ দেয়া জায়েজ আছে। যেমন: ,
«لَعَنَ اللَّهُ اليَهُودَ وَالنَّصَارَى، اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسْجِدًا»
“ইহুদি ও খৃষ্টানদের ওপর আল্লাহ তাআলার অভিশাপ, তারা তাদের নবিদের কবরকে (সেজদার জায়গা) মসজিদ বানিয়ে নিয়েছে।”
(সহিহ বুখারী ও মুসলিম)

আরেকটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে আলী রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চারটি বিষয়ে আমাকে অবহিত করেছেন:
«لَعَنَ اللَّهُ مَنْ ذَبَحَ لِغَيْرِ اللَّهِ وَلَعَنَ اللَّهُ مَنْ آوَى مُحْدِثًا وَلَعَنَ اللَّهُ مَنْ لَعَنَ وَالِدَيْهِ وَلَعَنَ اللَّهُ مَنْ غَيَّرَ مَنَارَ الْأَرْضِ»

  • ক. যে ব্যক্তি গাইরুল্লাহর উদ্দেশ্যে পশু জবেহ করে তার উপর আল্লাহর লা’নত।
  • খ. যে ব্যক্তি নিজ পিতা-মাতাকে অভিশাপ দেয় তার উপর আল্লাহর লা’নত।
  • গ. যে ব্যক্তি কোনও পাপাচারী কিংবা বিদআতিকে আশ্রয় দেয় তার উপর আল্লাহর লা’নত।
  • ঘ. যে ব্যক্তি জমিনের সীমানা পরিবর্তন করে, তার উপর আল্লাহর লা’নত’’।
    [সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: আল্লাহ ছাড়া অন্যের জন্য পশু জবেহ করা হারাম।]
    এ বিষয়ে প্রচুর হাদিস আছে।

নির্দিষ্ট কোন-কাফের মুশরিককে অভিসম্পাত করা জায়েজ আছে যদি কুরআন ও হাদিসে তাকে অভিসম্পাত করা হয়ে থাকে। যেমন: ইবলিসকে অভিশাপ দেয়া। আল্লাহ বলেন:
وَإِنَّ عَلَيْكَ اللَّعْنَةَ إِلَىٰ يَوْمِ الدِّينِ
”এবং তোমার প্রতি বিচারের দিন (কিয়ামত) পর্যন্ত অভিসম্পাত।” (সূরা হিজর: ৩৫)
এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইবলিসকে লানত বা অভিসম্পাত দিয়েছেন।

এছাড়াও ঐ ব্যক্তিদেরকে নির্দিষ্টভাবে লানত দেয়া জায়েজ কুরআন-হাদিস দ্বারা জানা যায় যে, তারা কুফরির উপর মারা গেছে। যেমন: ফিরআউন, নমরূদ, আবু লাহাব, আবু জাহেল ইত্যাদি।

অভিশাপ থেকে মুক্তির উপায়

সন্তারে জন্যে মা পৃথিবীর সবচেয়ে আপনজন। মায়ের কাছে তার কোলের সন্তানের থেকে প্রিয় কিছু আর নাই। নিজের জীবনকে ত্যাগ করে হলেও মা সব সময় চান তার সন্তান সুস্থ, সবল ও নিরাপদ(Safe) থাকুক।

দরিদ্র ঘরের মাকে দেখা যায়, নিজে না খেয়ে সন্তানের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন অবলীলায়। সন্তানের অসুখে রাত জেগে তার শিয়রে বসে মাথায় পানি দিচ্ছেন। সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসা যুগে যুগে অনেক রূপকথা ও প্রবাদের জন্ম দিয়েছে, দিয়েই চলেছে।

এই সন্তানকেই তিনি প্রায় একটি বছর অসহ্য কষ্টে গর্ভধারণ করেছেন। এরপরে সন্তান যখন পৃথিবীর আলোতে চোখ মেলে তাকিয়েছে, তখন তিনি সব কষ্ট ভুলে গেছেন। তাকে লালন পালন করেছেন প্রতিটি ঘাম, প্রতি ফোটা অশ্রুবিন্দু বিসর্জন দিয়ে।

কিন্তু শৈশবের বালখিল্যতা কিংবা কৈশরের দুরন্তপনায় অনেক সময়ই সেই মা সন্তানের আচরণে অধৈর্য হয়ে তার প্রতি অভিশাপ দিয়ে বসেন। আমাদের গ্রাম-অঞ্চলে প্রায়েই দেখা যায়, মা তার দুরন্ত ছেলেকে উদ্দেশ্য করে বলছেন, ‘তোর মুখ আমি যেনো আর না দেখি’, ‘তোর কেনো মরণ হয় না’ ইত্যাদি ধরনের নানা অভিশাপ(Damn) বাক্য। অথচ তিনি নিজেও হয়তো কখনো সচেতনভাবে তেমনটি কামনা করেন না।

অনেক সময় দেখা যায়, সত্যি যদি মায়ের অভিশাপের পরে সন্তান তেমন কোনো দুর্ঘটনায় পড়ে, তখন আর মায়ের অনুশোচনার শেষ থাকে না।

প্রতিটি ছোট থেকে বড় বিষয়ের মতো এ বিষয়টিকেও ইসলাম এড়িয়ে যায় নি। এ ব্যাপারেও ইসলাম আমাদের শিক্ষা দেয়। ইসলাম কখনো কারো বিরুদ্ধে অভিশাপ দেয়া বা বদ দোয়া করাকে সমর্থন করে না। আপন সন্তান তো বটেই সামান্য জীবজন্তু বা পোকা-মাকড়, এমনকি জড় পদার্থকে অভিশাপ দেয়াও সমর্থন করে না।

হাদিসে আছে, জাবের বিন আব্দুল্লা [রা] বলেন, ‘বাতনে বুওয়াতের সফরে রাসুল [স] মাজদি ইবন ‘আমর জুহানিকে খুঁজছিলেন। উকবা আনসারি তাঁর উটের পাশ দিয়ে চক্কর দিয়ে তাকে থামায়। তারপর তার পিঠে উঠে আবার তাকে চলতে নির্দেশ দেয়। হঠাৎ উটটি একেবারে নিশ্চয় হয়ে গেলো। তিনি বিরক্ত হয়ে বললেন, তোর ওপর আল্লাহর অভিশাপ।

রাসুল [স] একথা শুনে বললেন, কে নিজের উটকে অভিশাপ দিলো ? তিনি বললেন, আমি হে আল্লাহর রাসুল। রাসুল [স] বললেন, ‘তুমি এই উটের পিঠ থেকে নামো। তুমি আমাদের কোনো অভিশপ্তের সঙ্গী করো না। তোমরা নিজেদের বিরুদ্ধে, তোমাদের সন্তান-সন্তুতির এবং তোমাদের সম্পদের বিরুদ্ধে বদ দোয়া করো না।’ (মুসলিম)

হাদিস বিশারদগণ এর ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে যে, হতে পারে যে সময় বদ দোয়া করা হয়েছে, তা দিনের এমন সময়ে কেো হয়েছে, যখন খারাপ বা ভালো সব দোয়াই কবুল করা হয়। (মিরয়াতুল মাফাতিহ)

নি:সন্দেহে বলা যায়, এই হাদিসটি রাগের মাথায় মানুষের তার পরিবার ও সম্পদের বিরুদ্ধে দোয়া করার নিষিদ্ধতা প্রমাণ করে। তাছাড়া নিজের সন্তানের বিরুদ্ধে দোয়া করার অর্থ তো নিজেই নিজের বিরুদ্ধে(Against) দোয়া করা। প্রকারন্তরে নিজেকেই ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আর তোমরা নিজ হাতে নিজদেরকে ধ্বংসে নিক্ষেপ করো না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত ১৯৫)

অতএব আমাদের মায়েদের ভেবে রাখতে হবে, যদি তারা তাদের সন্তানদের উদ্দেশ্যে কোনো অভিশাপ দিয়েই ফেলে, হোক সেটা রাগের বশেই, আর সেই বদ দোয়া বা অভিশাপটি এমন মুহূর্তে হয়ে গেলো, যখন আল্লাহ তায়ালা তার বান্দার প্রতিটি দোয়াই কবুল করে নেন, তখন ব্যাপারটা কেমন হবে ? যদি সত্যিই সন্তান ধ্বংস হয়ে যায়, তাহলে কি মা তখন সহ্য করতে পারবে। তাই প্রতিটি মায়ের উচিত, এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সংযম ও সতর্কতা অবলম্বন করা।

নারীরা অভিশাপ দেয় বেশি

নারীদের মধ্যে দুটি দোষ বেশি পরিলক্ষিত হয়।
এক. বেশি বেশি অভিশাপ দেয়া।
দুই. না শোকরীর মনোভাব বেশি।
এগুলো পরিহারের জোড় তাগিদ দিয়েছে ইসলাম।

বোখারী শরীফের এক হাদীছে এসেছে, একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীদের এক মজলিসে বয়ান করছিলেন। বয়ানের এক পর্যায়ে নারীদের উদ্দেশ্যে বললেন : ‘হে নারীরা! তোমরা বেশি বেশি করে দান-সদকা কর। কারণ জাহান্নামে দেখেছি তোমাদের সংখ্যা বেশি। দান-সদকার কারণে তোমাদের পাপ মোচন হবে। এভাবে তোমরা জাহান্নাম থেকে রক্ষা পাবে।’

তখন এক বুদ্ধিমতী মহিলা জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা নারীরা জাহান্নামে সংখ্যায় বেশি থাকব, তার কারণ কী? তখন রাসূল (সা.) বললেন : ‘তার বিশেষ দুটো কারণ- এক হলো তোমরা বেশি বেশি অভিশাপ দাও। আর এক হলো তোমরা স্বামীর না শোকরী কর।’

বাস্তবেও আমরা দেখতে পাই নারীদের মধ্যে এই দুটো বদ-অভ্যাস খুব বেশি। তারা মানুষকে খুব বেশি অভিশাপ দেয়। কথায় কথায় অভিশাপ দেয়। কোন ব্যাপারে ধৈর্য্যহারা হয়ে নিজের ভাইবোন, আত্মীয়-স্বজনকেও অভিশাপ দেয়।

এমনকি আদরের সন্তানকেও কথায় কথায় অভিশাপ দেয়। কোন ব্যাপারে সন্তান অন্যায় করলে অতিষ্ঠ হয়ে বলতে থাকে- ‘তুই মর, আজরাইল তোকে চোখে দেখে না? তোর কলেরা হোক, মরতে পারিস না’ ইত্যাদি ভাষায় অভিশাপ দিতে থাকে।

এরকম অভিশাপ দেওয়া মহিলাদের একটা বদ-অভ্যাস। এগুলো আল্লাহ পছন্দ করেন না। দিনের এমন কিছু সময় আছে, সেসব সময় আল্লাহর কাছে দোয়া কবুল হয়ে
যায়। আপনার এই অভিশাপ যদি আল্লাহর কাছে কবুল হয়ে যায়, তাহলে সন্তান ও ভাইবোনের ক্ষতি মানেই তো আপনার নিজেরই ক্ষতি। ধৈর্য্যহারা ও অতিষ্ঠ হওয়া তো সাময়িক ব্যাপার। এর জন্য বড় কোনো ক্ষতির সম্মুখীন না হওয়াই ভালো। আর অপরের ক্ষতির কারণ যদি আপনি হয়ে যান, তাহলে এর দায়-ভার আপনাকেই টানতে হবে। কিয়ামতের দিন এর জবাবদিহি করতে হবে।

নারীদের আরেকটি বদ-অভ্যাস হলো স্বামীর না শোকরী করা। একজন স্বামী সারা জীবন তার স্ত্রীকে পছন্দসই কাপড়-চোপড় দিবে, এরপর কোন একবার যদি আর্থিক টানাটানি বা কোন কারণে এমন কিছু দিল যা স্ত্রীর তেমন পছন্দ হলো না, ব্যস! বলে বসবে জীবনে কোন দিন পছন্দসই কিছু দিলে না, সারা জীবন এই রকম বাজে জিনিস দাও, যা কোন মানুষের রুচিতে ধরে না ইত্যাদি।

এছাড়া আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে যদি কেউ খারাপ অবস্থায় থাকে, তাকে যদি কিছু সাহায্য-সহযোগিতা স্বামীর পক্ষ থেকে করা হয়। তাহলেও নারীরা বিভিন্ন রকম না শোকরী কথাবার্তা বলে থাকেন। কিন্তু আত্মীয়-স্বজনেরও আপনাদের ওপর হক আছে। এই হক আদায় করার জোড় তাগিদ রয়েছে ইসলামে। শুধু নিজেরা ভোগ-বিলাস করলাম, আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশির দিকে তাকালাম না, ইসলাম কিন্তু তা নয়। এর জন্যও আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।

অপরদিকে এই না শোকরীর মনোভাব থেকে আল্লাহর নেয়ামতের না শোকরী পয়দা হবে। মানুষের না শোকরী করার মনোভাব থেকে আল্লাহ পাকের না শোকরী করার মনোভাব এসে যাবে। আল্লাহর বান্দা আমাকে সারা জীবন কি দিল তা দেখলাম না, বরং একবার কি দিল না তাই দেখলাম- এ থেকে এই অভ্যাস আসবে যে, আল্লাহ আমাকে কত নেয়ামত দিয়েছেন, সেগুলো দেখব না, বরং কি দেননি শুধু সেটা দেখব। এর থেকেই আল্লাহর না শোকরী আসবে। আল্লাহ এই না শোকরী পছন্দ করেন না।

হাদীছে এসেছে, ‘যে মানুষের শোকর আদায় করে না, সে আল্লাহর শোকরও আদায় করতে পারে না।’

না শোকরী করা মারাত্মক গোনাহ। আল্লাহর না শোকরী করা কবীরা গোনাহ, বান্দার না শোকরী করাও কবীরা গোনাহ। আর শোকর আদায় করা ওয়াজিব। আল্লাহর নেয়ামত বা অনুগ্রহের শোকর আদায় করা ওয়াজিব। এমননিভাবে যে কোন মানুষ অনুগ্রহ করলে তার শোকর আদায় করা ওয়াজিব।

নারীদের এই দুই ধরনের দোষ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য জোড় তাগিদ দিয়েছেন নবী করীম সাল্লাল্হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ।

আল্লাহ যখন অভিশাপ দেন

 

সূরা ফাতিহায় আমরা বলি, ‘গাইরিল মাগদুবি আলাইহিম’- ‘হে আল্লাহ! যাদের ওপর তুমি রাগ হয়েছে, তোমার গজব যাদের ওপর পড়েছে, তাদের পথে আমাদের নিও না।’ আরবি অভিধানে ‘গজব’ শব্দের অর্থ লেখা হয়েছে- রাগ হওয়া, রাগ করা। অভিধানবিদরা আরেকটু ব্যাখ্যা করে বলেন, রাগ কমও হতে পারে, বেশিও হতে পারে। রাগ কম হলে শাস্তি কম। রাগ বেশি হলে শাস্তিও বেশি। কখনো কখনো রাগের পেছনে ভালোবাসা-মমতাও লুকিয়ে থাকে। কিন্তু আল কোরআন ও হাদিসে রাগের পাশাপাশি এমন একটি শব্দ এসেছে, যার কোনো কমবেশি নেই। নেই তার পেছনে লুকিয়ে থাকা কোনো ভালোবাসা-মমতা। সেই শব্দটি হচ্ছে ‘লানত’। বাংলায় যাকে আমরা ‘অভিশাপ’ বলি। এমন কিছু কাজ আছে, যা করলে আল্লাহ নিজেই বান্দাকে অভিশাপ দেন। আর আল্লাহ যাকে অভিশাপ দেন, সহজ কথায় তার অর্থ দাঁড়ায় প্রতিটি সৃষ্টিও তাকে অভিশাপ দেয়। লানাতুল্লাহ বা আল্লাহর অভিশাপ কথাটির অর্থ হলো, বান্দার প্রতি আল্লাহর কোনো রহমত-ভালোবাসা-স্নেহ নেই, আছে শুধু অভিশাপ আর অভিশাপ। এ ধরনের মানুষকে কোরআনের ভাষায় মালউন বলা হয়েছে। যারা আল্লাহর খেয়ে আল্লাহর পরে আল্লাহকেই অবিশ্বাস করে, আল্লাহর সাম্রাজ্যে থেকে আল্লাহদ্রোহী হয়ে ওঠে, তাদের চেয়ে বড় মালউন বা অভিশপ্ত সৃষ্টি আর কে আছে?

সে কথাটিই আল্লাহতায়ালা কোরআনে এভাবে বলেছেন, ‘যারা তার স্রষ্টা আল্লাহকে অস্বীকার করে আর এভাবেই জীবন ঘোড়াকে লাগামহীনভাবে চালাতে থাকে, একসময় সে বিদ্রোহী অবিশ্বাসী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। তাদের ওপর আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতা এবং প্রতিটি মানুষের অভিশাপ ঝরতে থাকে অঝোর ধারায়।’ সূরা বাকারাহ, আয়াত ১৬১-১৬২। আরেকটি আয়াতে আল্লাহ বলছেন, ‘যারা আল্লাহ এবং তাঁর রসুলকে কষ্ট দেয়, তাদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে আল্লাহর লানত। তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’ সূরা  আহজাব, আয়াত ৫৭।

আল্লাহকে অমান্য করা, তাঁর নির্দেশ অস্বীকার করা আর আল্লাহ ও তাঁর রসুলকে কষ্ট দেওয়া দুটো বিষয় আসলে একই। আল্লাহর হুকুম-আহকাম পালন না করলেই আল্লাহ ও নবীকে কষ্ট দেওয়া হয়। আর যে আল্লাহ ও তাঁর নবীকে কষ্ট দেয় সে হয়ে যায় মালউন বা অভিশপ্ত। এবার একটু চিন্তা করে দেখুন তো, আমি আপনি কতভাবে কত হাজার বার আল্লাহর নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে নিজেদের খেয়ালখুশিমতো জীবনযাপন করেছি, কতভাবে যে আল্লাহ আর নবীকে কষ্ট দিয়েছি তার কোনো হিসাব আছে? এভাবেই চলছে আমাদের জীবন। আর একদিন এভাবেই এসে যাবে মৃত্যুর পালকি। কিন্তু তারপর কী হবে চিন্তা করেছি কখনো? আল্লাহর অভিশাপ নিয়ে আল্লাহর সামনেই দাঁড়াতে হবে আমাদের। আর পেতে হবে ‘আজাবুমমুহিনা’ ‘যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি’।

যদি আমরা একটু কষ্ট স্বীকার করে আল্লাহর নির্দেশগুলো মেনে চলতে পারি, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেখানো পথে চলতে পারি, তাহলে আমাদের ভাগ্যে জুটবে আল্লাহর ক্ষমা এবং অনাবিল সুন্দর জান্নাত। আল্লাহ বলছেন, ‘হে আমার বন্ধু! আপনার উম্মতকে বলে দিন, যদি তোমরা আল্লাহর ভালোবাসায় সিক্ত হতে চাও, তাহলে আমার দেখানো জীবনপদ্ধতি অনুসরণ কর। তাহলে আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং ক্ষমার কোমল চাদরে তোমাদের জড়িয়ে নেবেন। অবশ্যই আল্লাহ দয়ামায় ও ক্ষমাশীল।’ সূরা আলে ইমরান, আয়াত ৩১।

হে আল্লাহ! আপনার কুফরি এবং আপনার রাগের কারণ হওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করুন। অভিশাপের তীরে বিদ্ধ নয়, রহমতের বর্ষণে আমাদের সিক্ত করুন। আর অভিশাপ দেয়া থেকে বিরত রাখুন ৷ আমীন ৷

শিক্ষকের অভিশাপ নিয়ে একটি বাস্তব ঘটনাঃ

তুখোড় মেধাবী এক ছাত্র Ssc পরিক্ষায় ফাস্টক্লাস পেয়ে পাশ করলো, স্কুলের এক শিক্ষক ছাত্র কে ডেকে বললো, বাবা, তুমি তো খুব রেজাল্ট করেছো তো আমাদের মাষ্টরদের সবাইকে কে মিষ্টি খাওয়াও, ছাত্র মাষ্টারের কথার প্রতিউত্তরে বলেছিলো, মিষ্টি আপনারা কিনে কিনে খান!,  আমি নিজ যোগ্যতায় ভালো রেজাল্ট করেছি, আমি আপনাদের কাওকে মিষ্টি খাওয়াইয়া পয়সা খরচ করতে পারবো না!
শিক্ষক ছাত্রের কথা শুনে মনে খুবই কষ্ট পেলেন, মনের অজান্তেই শিক্ষক বলে ফেললেন তুই যেন বাকি জীবনে আর কোন পরিক্ষায় পাশ না করিস!
শিক্ষকের অভিশাপ ঠিকই কবুল হয়েছিলো, ঐ মেধাবী ছাত্র বার বার এইচএসসি পরিক্ষা দিয়েও পাশ করতে পারে নি।

অভিশাপ থেকে বাঁচার দোয়া

اللهم انما انا بشر فلا تعاقبني ايما رجل من المؤمنين اذيته
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নামা আনা বাশারুন ফালা তুআকিবনি, আইয়ুমা রজুলুম মিনাল মুমিনিনা আ-জাইতুহ।

অভিশাপ থেকে মুক্তির দোয়া

 

অর্থ : হে আল্লাহ, আমি একজন মানুষই। অতএব তুমি আমাকে শাস্তি দিয়ো না। আমি যদি কোনো মুমিন ব্যক্তিকে কষ্ট দিয়ে থাকি বা গালি দিয়ে থাকি, তবে তুমি সে জন্য আমাকে শাস্তি দিয়ো না।

উপকার : আয়েশা (রা.) বলেন, তিনি রাসুল (সা.)-কে দুই হাত তুলে এই দোয়া করতে দেখেছেন। (মুসনাদে আহমদ : ২৫২৬৫)

আপনার জন্য আরো কিছু গুরুত্বপুর্ণ লেখা

লেখকঃ 
হাফেজ মাওলানা দীদার মাহদী
ভাইস প্রিন্সিপ্যাল, দারুলহুদা মডেল মাদরাসা
কোদালপুর, গোসাইরহাট, শরীয়তপুর ৷
মেইলঃ [email protected]