মহররমের রোজা কয়টি ? মহররমের রোজার ফজিলত। আশুরার আমল সমূহ মাওলানা শরিফ আহমাদ

মহররমের রোজা কয়টি ? মহররমের রোজার ফজিলত । আশুরার আমল সমূহ

 

সুপ্রিয় পাঠক‌! আরবী বারো মাসের মধ্যে প্রথম মাস মহররম। এই মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত অধিক । এই মাসে সংগঠিত হয়েছে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা। পবিত্র কোরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে সঠিক তথ্য জানা যেমন প্রয়োজন তেমনি আমলের কথাগুলো জানাও অতি জরুরী। আর আমলের মধ্যে অন্যতম হলো রোজা।মহররমের রোজা কয়টি ? মহররমের রোজার ফজিলত। আশুরার আমল সমূহ ৷

তাই আজ রোজা নিয়ে জরুরী পয়েন্টগুলো উল্লেখ করছি। উপকৃত হলে শেয়ার করুন‌ । অন্যকে জানার সুযোগ করে দিন‌ ।

 

আরও দেখুনঃ কারবালার প্রকৃত ইতিহাস

মহররমের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

মহররমের রোজা কয়টি ? মহররমের রোজার ফজিলত। আশুরার আমল সমূহ
মহররমের রোজা কয়টি ? মহররমের রোজার ফজিলত। আশুরার আমল সমূহ

মহররম একটি অধিক ফজিলত পূর্ণ মাস । এ মাস ফযীলতপূর্ণ সেই পৃথিবী সৃষ্টির লগ্ন থেকেই । আল কোরআনে বলা হয়েছে-

 

إِنَّ عِدَّةَ الشُّهُورِ عِندَ اللَّهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِي كِتَابِ اللَّهِ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ۚ ذَٰلِكَ الدِّينُ الْقَيِّمُ ۚ فَلَا تَظْلِمُوا فِيهِنَّ أَنفُسَكُمْ ۚ وَقَاتِلُوا الْمُشْرِكِينَ كَافَّةً كَمَا يُقَاتِلُونَكُمْ كَافَّةً ۚ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ مَعَ الْمُتَّقِينَ [٩:٣٦

 

অনুবাদ: নিশ্চয় আল্লাহর বিধান ও গননায় মাস বারটি, আসমানসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে। তন্মধ্যে চারটি সম্মানিত। এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান; সুতরাং এর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি অত্যাচার করো না। আর মুশরিকদের সাথে তোমরা যুদ্ধ কর সমবেতভাবে, যেমন তারাও তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছে সমবেতভাবে। আর মনে রেখো, আল্লাহ মুত্তাকীনদের সাথে রয়েছেন। (সূরা তওবা-৩৬)

সেই পবিত্র চার মাস কি? যা পবিত্র কুরআনে ঘোষণা হয়েছে‌ ! যে মাসে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নিজেদের উপর অত্যাচার করতে নিষেধ করেছেন। হাদীসে তা স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ হয়েছে-

 

عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” إِنَّ الزَّمَانَ قَدِ اسْتَدَارَ كَهَيْئَتِهِ يَوْمَ خَلَقَ اللَّهُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ، السَّنَةُ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا، مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ، ثَلاَثٌ مُتَوَالِيَاتٌ: ذُو القَعْدَةِ، وَذُو الحِجَّةِ، وَالمُحَرَّمُ، وَرَجَبُ، مُضَرَ الَّذِي بَيْنَ جُمَادَى، وَشَعْبَانَ “

অনুবাদ: হযরত আবু বাকরা রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ আল্লাহ যেদিন আসমান যমীন সৃষ্টি করেন, সেদিন যেভাবে কাল [যমানা] ছিল তা আজও অনুরূপভাবে বিদ্যমান। বারমাসে এক বছর, তন্মধ্যে চার মাস পবিত্র। যার তিন মাস ধারাবাহিক যথা জিলকদ, জিলহজ্ব ও মুহাররম ও মুযার গোত্রের রজব, যা জামাদিউস সানী এবং শাবান মাসের মধ্যবর্তী।

( সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৪৬৬২, ৪৩৮৫, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৭৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-১৯৪৭)

উপরোক্ত আয়াত ও হাদীস থেকে সংক্ষেপে হলেও মুহররম মাস ফযীলতের কথা বুঝা গেলো। আর কথা দীর্ঘায়িত না করে মূল পয়েন্ট যাচ্ছি ।

আপনি পড়ছেনঃ মহররমের রোজা কয়টি ?

 

 

মহররম সম্পর্কে হাদীস

 

১ নং হাদীস

হযরত আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বর্ণিত । নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন , রমজানের পর সবচেয়ে উত্তম সিয়াম হল আল্লাহর মাস মহররমের সিয়াম আর ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে উত্তম হলো রাতের নামাজ অর্থাৎ তাহাজ্জুতের নামাজ । (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৬৩)

 

২ নং হাদীস

 

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, রমজানের পর শ্রেষ্ঠ মাস হচ্ছে আল্লাহর মাস । যাকে তোমরা মহররম বলে থাকো ।

(সুনানে কুবরা, সুনানে নাসাঈ, হাদীস নং ৪২১৬)

 

৩ নং হাদীস

 

এক সাহাবী নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল ! রমজানের পর আপনি কোন মাসে সিয়াম পালন করতে বলেন ?

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন তুমি যদি রমজানের পর সিয়াম পালন করতে চাও তাহলে মহররমের সিয়াম পালন করো । কেননা মহররম হচ্ছে আল্লাহর মাস । এ মাসে এমন একদিন আছে যেদিন আল্লাহ তাআলা অতীতে অনেকের তাওবা কবুল করেছেন । ভবিষ্যতেও অনেকে তওবা কবুল করবেন ।

( জামে তিরমিযি, হাদীস নং ৭৪১)

নোট: মুহাদ্দিসিনে কেরাম এ দিনটি আশুরার দিন হওয়ার সম্ভাবনা উল্লেখ করেছেন।

 

 

 

৪ নং হাদীস

 

এ মাসে পৃথিবীর বহু ঐতিহাসিক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এদিনে আল্লাহ তাআলা তাঁর কুদরত প্রকাশ করেছেন। বনি ইসরাইলের জন্য সমুদ্রে রাস্তা বের করে দিয়েছেন এবং তাদেরকে নিরাপদে পাড় করে দিয়েছেন। আর একই রাস্তা দিয়ে ফেরাউন ও তার অনুসারীদেরকে ডুবিয়ে মেরেছেন। ( সহীহ বুখারী ১/৪৮১)

 

মুহাররমের রোজার ইতিহাস

 

হযরত ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু তাআলা আনহুমা থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় আগমন করে দেখতে পেলেন যে ইহুদিরা আশুরা দিবসে সিয়াম পালন করে ।

তিনি জিজ্ঞেস করলেন ,কি ব্যাপার তোমরা এদিনে সিয়াম পালন করছো কেন ? তারা বলল এটা অতি উত্তম দিন । এই দিনে আল্লাহ তা’আলা বনি ইসরাইলকে তাদের শত্রুর কবল থেকে মুক্তি দান করেছেন । ফলে এই দিনে মুসা আলাইহিস সালাম সিয়াম পালন করেছেন । আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন মুসা আলাইহিস সালামের অনুসরণের ক্ষেত্রে আমি তোমাদের অপেক্ষা অধিক হকদার। এরপর তিনি এদিনে সিয়াম পালন করলেন এবং (অন্যদেরকেও) সিয়াম পালনের নির্দেশ দিলেন ।

(সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২০০৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৩০)

আপনি পড়ছেনঃ মহররমের রোজা কয়টি ?

মহররমের রোজা কয়টি?

মহররমের রোজা কয়টি?
মহররমের রোজা কয়টি?

মহররমের রোজা মূলত দুইটি ।‌ যদিও নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি রোজা রেখেছেন । কিন্তু তিনি আগামীতে দুটি রোজা থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন।‌

 

 

মহররমের রোজা কত তারিখে?

 

মুহাররমের ১০ তারিখ হচ্ছে আশুরা । আর এ দিনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ । তাই রোজা রাখতে হবে ৯ ও ১০ তারিখে অথবা ১০ ও‌ ১১ তারিখে।

উভয় অবস্থারই দলীল বিদ্যমান রয়েছে।

 

 

মহররমের রোজার দলীল

 

قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” صُومُوا يَوْمَ عَاشُورَاءَ، وَخَالِفُوا فِيهِ الْيَهُودَ، صُومُوا قَبْلَهُ يَوْمًا، أَوْ بَعْدَهُ يَوْمًا

 

অনুবাদ: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা আশুরার রোযা রাখ ইহুদীদের সাদৃশ্য পরিত্যাগ করে, আশুরার আগে বা পরে আরো একদিন রোযা রাখ। (মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২১৫৪, ১/২৪১)

 

মহররমের রোজার নিয়ত

 

সাহরী খাওয়ার সময় মুহাররমের রোজা রাখার খেয়াল অন্তরে থাকলেই নিয়ত হয়ে যাবে । যদিও বা সন্দেহ কিংবা মনের খটকা দূর করার জন্য মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত করা মুস্তাহাব । আর সেই মুখে উচ্চারণ করা নিয়তটা নিজস্ব ভাষায় করতে পারেন । আমি নমুনা স্বরূপ একটি উল্লেখ করছি ।

আমি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি এবং নবীজির সুন্নাত পালনের লক্ষ্যে মহররমের রোজা রাখার নিয়ত করলাম ।

 

মহররমের রোজার ফজিলত

 

আশুরার দিনের মূল ইবাদত হচ্ছে এদিনের সিয়াম পালন করা । হযরত আবু কাতাদা রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত । আশুরার সিয়ামের ফজিলতের ব্যাপারে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন,

صيام يوم عاشوراء أحتسب على الله أن يكفر السنة التي قبله

আশুরার দিনের সিয়ামের ব্যাপারে আমি আল্লাহর নিকট প্রত্যাশা রাখি যে, এ সিয়াম পালন করলে তিনি পূর্বের এক বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন ।

(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৬২,তিরমিজী-১/১৫৮ )

 

হযরত ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহুমা বলেন , আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আশুরার দিনের চেয়ে গুরুত্ব দিয়ে অন্য কোন সিয়াম পালন করতে দেখিনি এবং রমজান মাস ছাড়া অন্য কোন মাসেও এত গুরুত্ব দিয়ে সিয়াম পালন করতে দেখিনি । (সহীহ বুখারী,হাদীস নং ২০০৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৩২)

 

মহররমের রোজা কয়টি ?

বিখ্যাত নারী সাহাবী হযরত রুবায়্যি বিনতে মুআববিয রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশুরর দিন সকালে আনসারাদের এলাকায় লোক মারফতে এ খবর পাঠালেন , যে আজ সকালে খেয়েছে সে যেন সারাদিন আর না খায় আর যে সকালে খায়নি সে যেন সিয়াম পূর্ণ করে ।

তিনি আরো বলেন এরপর থেকে আমরা নিজেরাও এদিনে সিয়াম পালন করতাম এবং আমাদের বাচ্চাদেরও সিয়াম পালন করাতাম । তাদের জন্য আমরা খেলনা বানিয়ে রাখতাম । তারা খাবারের জন্য কান্নাকাটি করলে তাদেরকে খেলনা দিয়ে শান্ত করতাম । ইফতার পর্যন্ত এ নিয়ে তাদের সময় কেটে যেত ।

(সহীহ বুখারী হাদীস নং ১৯৬০, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৩৬)

 

 

আশুরার আমল সমূহ

 

মহররম এবং আশুরা এলেই বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় আলেম-ওলামাদেরকে । বিভিন্ন জন প্রশ্ন করে থাকে কোন কোন ইবাদত বেশি বেশি করব ? পদ্ধতি কি ইত্যাদি বিষয় । তাদের প্রশ্নের উত্তরে আলেম-ওলামাদের সহজ জবাব হল- এ মাসে কোন নির্ধারিত ইবাদত নেই এবং এর সুনির্দিষ্ট কোন নিয়মও নেই । তবে কিছু কিছু দোয়া দরুদ ও বাংলা অজিফার বই রাস্তাঘাটে ফেরিওয়ালাদের কাছে পাওয়া যায় ।

 

যেগুলোর মধ্যে নফল ইবাদতকে অহেতুক রীতি- নিয়মের বেড়াজালে আবদ্ধ করে মানুষকে বিপদে ফেলে দিয়েছে । এইসব বইয়ের কোন নির্ভরযোগ্যতা না থাকলেও মহিলাদের কাছে খুব গ্রহণযোগ্য । আর এই রকম বই একটা ঘরে থাকলে মহিলাদের পাশাপাশি অবসরে পুরুষরা পড়ে থাকে । আর এখানে ঘটে-বিপত্তি । তাই ঐসব অনির্ভরযোগ্য লেখকের বই পড়া থেকে বিরত হওয়া উচিত ।

 

 

মহররমের তিনটি আমলের কথা হাদীসে এসেছে

১. পুরো মাসে যে কোন দিন রোজা রাখা । তাহলে অন্য মাসে নফল রোজা রাখলে যে সওয়াব তার চেয়ে বেশি সওয়াব লাভ করা যাবে।

হযরত আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বর্ণিত । নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন , রমজানের পর সবচেয়ে উত্তম সিয়াম হল আল্লাহর মাস মহররমের সিয়াম আর ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে উত্তম হলো রাতের নামাজ অর্থাৎ তাহাজ্জুতের নামাজ । (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৬৩)

২. ১০ তারিখ আশুরার রোজা রাখা ।

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন,

صيام يوم عاشوراء أحتسب على الله أن يكفر السنة التي قبله

অনুবাদ: আশুরার দিনের সিয়ামের ব্যাপারে আমি আল্লাহর নিকট প্রত্যাশা রাখি যে, এ সিয়াম পালন করলে তিনি পূর্বের এক বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন । (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৬২,তিরমিজী-১/১৫৮ )

৩. দশ তারিখে বা আশুরার দিনে নিজ নিজ পরিবার পরিজনের খাদ্য-খোরাকে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু মুক্ত হস্ত হওয়া ।

হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বর্ণিত। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, মে ব্যাক্তি আশুরা দিবসে নিজ পরিবারের জন্য প্রশস্ততা অবলম্বন করবে আল্লাহ তাআলা তাকে সারা বছর প্রশস্তা দান করবেন।

(আল-মু’জামুল আওসাত, হাদীস নং ৯৩০২, আল-মু’জামুল কাবির, হাদীস নং ১০০০৭,শুআবুল ইমান লিল বায়হাকি, হাদীস নং ৩৫১২)

এ হাদীসটির বিশুদ্ধতার ব্যাপারে মুহাদ্দিস ইমামগণের মাঝে মতানৈক্য রয়েছে। কারো কারো মতে হাদীসটি মুনকার (প্রত্যাখ্যাত) আর কারো কারো মতে হাদীসটি জয়ীফ হলেও একাধিক সনদে বর্ণিত হওয়ায় আমল যোগ্য হাদীস হিসাবে বিবেচিত হবে।

নির্ভরযোগ্য কোনো ইমামের মতেই আশুরা দিবসে পরিবারের খাবারের মান একটু উন্নত করা ওয়াজিব বা সুন্নাত নয় , বরং কারো মতে এটা জায়েজ বা সর্বোচ্চ মুস্তাহাব পর্যায়ের একটি আমল।

আশুরার দিনে সকল মুমিন মুসলমানদের জন্য দোয়া করা যেতে পারে। উল্লেখিত ঐ সব আমল গুলোর বাইরে বিশেষ কোনো নামাজ বা আলাদা ইবাদত নেই ।

সুপ্রিয় পাঠক । মহররম কিংবা অন্য কোন বিষয় জানার থাকলে কমেন্ট করুন । দ্রুত দলীল ভিত্তিক লিখে দেওয়া হবে ইনশাল্লাহ । সবাই ভালো থাকুন । সুস্থ থাকুন । আল্লাহ হাফেজ ।

 

 

লিখনে: মাওলানা শরিফ আহমাদ

ঢাকা, বাংলাদেশ ।

ফেসবুকে আমাদের সাথে যুক্ত হোন