কওমির পাঠদান অনলাইনে শুরু করা যায়
দীদার মাহদী
বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস এসে মানুষের জীবনযাত্রার মান চেঞ্জ করে দিয়েছে ৷ ব্যবসা বাণিজ্য এবং শিক্ষার পদ্ধতিতেও ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে ৷ উন্নত দেশগুলোর দেখাদেখি বাংলাদেশেও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের শিক্ষা কার্যক্রমে চেঞ্জ এনেছে ৷
করোনায় বাংলাদেশের সাধারণ ছুটি না থাকলেও শীঘ্রই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে করে মনে হচ্ছে না ৷ প্রতিনিয়ত রোগীর সংখ্যার পাশাপাশি মৃত্যুও বাড়ছে ৷ লকডাউন বাড়বে ৷ তবে রাতারাতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে না ৷ শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যেও তা স্পষ্ট হয়েছে ৷ তিনি বলেছেন, ‘আমাদের এখানে সংক্রমণ এখন বৃদ্ধির দিকে ৷..সংক্রমণ ঠেকাতে হবে, মানুষের স্বাস্থের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে ৷…শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুব সহসা খুলবার মতো পরিস্থিতি এখন নেই ৷’
সুতরাং তার এই বক্তব্যে স্পষ্টত বোঝা যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে আরো সময়ের প্রয়োজন ৷ এই দীর্ঘ সময় শিক্ষার্থীরা যেনো পড়াশোনায় পিছিয়ে না থাকে সেজন্য টিভিতে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে সরকার ৷ তানযীমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও অনলাইনে তাদের কার্যক্রম চালু করেছে ৷ দেশের কওমি মাদরাসাগুলোরও এখন চিন্তার সময় এসেছে ৷ আধুনিক ট্যাকনোলোজিকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে ৷
ছাত্ররা বাসায় অলস সময় পার করছে ৷ তারা নিজেদের ফোনো ফেসবুকিং বা অন্যান্য কাজ করেই সময় কাটাচ্ছে ৷ সুতরাং এই সেলফোনটিই কাজে লাগিয়ে পাঠদান কর্মসূচী গ্রহণ করা যায় ৷ আন্তর্জাতিক পরিমন্ডল থেকে শুরু করে অনেক মাদরাসাই এই পন্থায় এগুচ্ছে ৷
অনলাইনে যেভাবে দারস দেয়া যেতে পারে ৷
এক্ষেত্রে জুম এপস একটি সহজ পন্থা । এটা ফ্রিতে ইউজ যায় । একসাথে কয়েকজনকে গ্রুপ করে পড়াতে পারবেন । যার সবক নিবেন তার ফেস বড় করে স্ক্রিনে আনতে পারবেন । আবার উস্তাদের ফেস বড় করে শিক্ষার্থী দেখতে পারবে ।
তাছাড়া জুম এ কিছু ডলার পে করলে আরও কিছু সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় ।
আর কেউ জুম ইউজ ঝামেলা মনে করলে ইমো, ভাইবার, ওয়াটসআপ বা অন্যান্য মেসেঞ্জার এপস দিয়েও শুরু করতে পারেন।
মাদরাসার ধরাবাধা নিয়ম বাসায় কেউ মানবে না বটে ৷ তবে নাই মামার চেয়ে কানা মামা তো ভালো ৷ কবে নাগাদ মাদরাসা খুলবে তা অনিশ্চিত ৷ সুতরাং এই কাজটি করতে পারন ৷