লক্ষ্য গড়ার পথ | মারুফ আহমেদ | শীর্ষবার্তা ডটকম

লক্ষ্য গড়ার পথে
মোঃমারুফ আহমেদ
ভূমিকাঃ
এখানে চারটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।১.লক্ষ্য, ২.গড়া, ৩.পথ, ৪.লক্ষ্য গড়ার জন্য যা যা প্রয়োজন।

বুঝা দরকারঃ
মানুষ যেভাবে লক্ষ্য পূরণের জন্য চেষ্টা করে সেভাবে লক্ষ্য পূরণ করা যায় না। লক্ষ্য পূরণ করার জন্য নানা রকম বাধা বিপত্তি আসবেই এটা অবিশ্বাস করা বা কাকতালীয় কিছু নয়। লক্ষ্য নির্ধারণ করার পর সেই লক্ষ্যের প্রত্যয় নিয়ে এগোতে গেলে হাজার বার ভাংগনের সৃষ্টি হবে, বাধা আসবেই তাতে হার না মেনে নিয়ে বরং পূরণের জন্য চেষ্টা করে যাওয়া উচিত।

লক্ষ্যঃ
লক্ষ্য আসলে বিষয় টা এমন যে, আপনি মানবতার জন্য কাজ করবেন। এতেই লক্ষ্য শেষ হয়ে যায় না।আপনি মাত্র নির্ধারণ করলেন। এখন আপনাকে পুরনের জন্য কাজ করে যেতে হবে।চেষ্টা করতে হবে।সুতরাং,একে সংজ্ঞায় সাজালে, স্বপ্ন পূরণের জন্য একটি বিষয়বস্তু স্থির করতে হয়, এবং সেই বিষয়বস্তুর জন্য অবিরাম পরিশ্রম,চেষ্টা, সাধনা, কষ্ট করাকে লক্ষ্য বলে।এখন আসুন একটু মেলাই। আপনার স্বপ্ন ছিলো মানবতার জন্য কাজ করা এখানে আপনি বিষয় বস্তু স্থির করে ফেলেছেন,এখন এর জন্যে কাজ করতে থাকাই হচ্ছে লক্ষ্য।তবে আপনি এই স্বপ্ন ভেংগে দিয়ে আবার আরেকটি স্বপ্ন দেখলে আপনার লক্ষ্য স্থির হবে না। কেননা লক্ষ্য স্থির করার জন্য আপনাকে হাজারটা নয় একটি স্বপ্ন দেখতে হয়।

গড়াঃ
গড়া শব্দের অর্থ টা আসলে স্থাপিত করা,প্রতিষ্ঠিত করা বোঝানো যায়।আমাদের বাংলায় ভাংগা ও গড়া নামে একটি শব্দ উচ্চারণ করা হয়।হ্যাঁ, আপনি হয়তো দেখবেন অনেক সংসার আছে যেগুলো ভেংগে গিয়ে গড়ে যায়।কিছু ভুল বোঝাবুঝির কারনে এমনটা হয়ে থাকে। কিংবা পরিবেশের কারনে।আমি একথা বলার কারন হলো,আপনি যখন আপনার লক্ষ্যের জন্য কাজ করতে যাবেন,তখন নানান প্রকারের বাধা আসবে। হয়তো প্রথম টা হবে পরিবার, আর না হয় বাইরের লোকদের সমালোচনা।আর না হয় কিছু লোকদের বিরুদ্ধে যাওয়ায় অকথ্য মার।এগুলো ভেবে আপনি আপনার লক্ষ্যকে ভেংগে দিলেন।প্রথমত, আপনার লক্ষ্য আপনি স্থির রাখতে পারেন নি।আর দ্বিতীয়ত,আপনি সমালোচনার শিকার হলেন।আপনাকে বুঝতে হবে আপনি যখন কোনো কিছুর জন্য কাজ করতে যাবেন তখন পরিবারের বাধা আর লোকজন এর সমালোচনা শয়তানের বাধা দেওয়ার একটি উপায়মাত্র।আর যারা এমন কাজ করে ফেলেছেন,তাদের জন্য উপায় হচ্ছে আপনারা নতুন করে লক্ষ্য স্থির করুন এবং বাধা বিপত্তি উড়িয়ে দিয়ে কাজ করার জন্য চেষ্টা করুন।কারন ওই যে ভেংগে গিয়েও গড়ে যায়।আর তাছাড়া কবির একটা উক্তি মনে পরে,”পারিব না এ কথাটি বলিও না আর
একবার না পারিলে দেখো শতবার”।

পথঃ
পথ শব্দের অর্থ সাধারনত রাস্তাকে বলা যায়।যেই রাস্তা দ্বারা আপনি আপনার সাফল্যে পোছোবেন।সুতরাং আপনার এ রাস্তাকে বিশুদ্ধ, সঠিক ও নির্ভেজাল রাখতে হয়।কেননা,এখানে যদি ভেজাল থাকে তাহলে আপনার লক্ষ্য পূরণ ব্যাহত হবে।মানুষ যেমন রাস্তা ঠিক না থাকলে সঠিকভাবে হাটতে পারবে না।ঠিক তেমনি লক্ষ্য পুরণের ক্ষেত্রেও যদি পথ নির্ভেজাল না হয় তাহলে আপনার লক্ষ্য পূরণ ও ব্যাহত হবে।

লক্ষ্য পূরণের জন্য যা যা করনীয়ঃ
১.স্বপ্ন স্থির করাঃআগেই বলেছি লক্ষ্য পূরণ করার জন্য আপনার আগে একটি স্বপ্ন স্থির করার দরকার হবে।আর সেই স্বপ্ন একটি হতে হবে, এবং সেই স্বপ্ন ধরে রাখতে হবে।

২.সে অনুযায়ী কাজ করাঃস্বপ্ন স্থির করার মাধ্যমেই লক্ষ্য হয়ে গেলো না। বরং,ওই অবস্থা থেকে আপনার মাঝে একটি কাজ শুরু হয়ে গেলো।আর তা হচ্চে লক্ষ্য পূরণের জন্য স্বপ্ন অনুযায়ী কাজ করা।

৩.লোকজনের সমালোচনা এরিয়ে চলাঃসমালোচনা। সমালোচনা খুব বড় একটি ঝামেলা,আপনার ভালো কিছু দেখলেই অনেকেই আপনার সমালোচনার চেষ্টা করবে, আপনাকে নিয়ে হাসাহাসি করবে,তাতে কি হয়েছে লক্ষ্য পূরণের জন্য আপনাকে এগুলোতে পাত্তা দেয়া যাবে না।মনেই রাখা যাবে না যে কে আমার সমালোচনা করলো?? আর কেই বা আমায় নিয়ে হাসাহাসি করলো। এভোয়েড করা শিখতে হবে।

৪.বাধা বিপত্তি মারিয়ে দেয়াঃঅনেক বাধা আসতে পারে, পরিবার থেকে, ওই সমালোচনার মধ্যে থেকে,কেউ আপনাকে হুমকি দেয়ার চেষ্টা করবে,অথবা মারের মতো কিছু হতে পারে।তবে এগুলো দেখে পিছিয়ে গেলে আপনার লক্ষ্য সফল হতে পারবে না।সুতরাং, বাধা আসে আসুক আমি এর মোকাবিলা করবই এমন ধারণা রাখতে পারলে আপনার লক্ষ্য সফল হওয়ার একটি ধাপ হয়ে গেলো।

৫.কঠোর পরিশ্রম করাঃআসলে সকল কাজের জন্য পরিশ্রম করা লাগে।বড় বড় ব্যাক্তিরা নিজেদের লক্ষ্যে পিছিয়ে না গিয়ে বরং রাত দিন চেষ্টা আর পরিশ্রম করে গেছে।তাই তারা আজকে সফল। সুতরাং, লক্ষ্য পূরণের জন্য আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।

৬.আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়াঃসবশেষে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালার নিকট শুকরিয়া ও সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে।

শেস কথাঃ
মানুষ খুব তাড়াতাড়ি হার মেনে যায়। আমাদের উচিত হার না মেনে লক্ষ্য অনুযায়ী কাজ করা।আর সফল হওয়া না হওয়া আল্লাহর হাতে।সুতরাং,আপনারা আপনাদের লক্ষ্য পুরন করার জন্য চেষ্টা করে যান।

Leave a Comment