এবার বৃক্ষরোপণে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র : কাজ শুরু করেছে খুলনা ইউনিট |শীর্ষবার্তা


ইমন শেখ-জেলা প্রতিনিধি, শীর্ষবার্তা.কম

শুরু হলো বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র খুলনা ইউনিটের বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি। গতকাল বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার প্রাঙ্গনে বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক সাধন রঞ্জন ঘোষ। মূলত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত দেশব্যাপী এককোটি বৃক্ষ রোপনের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সারাদেশে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ৭৬ টি ইউনিট এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় খুলনা ইউনিটের এই আয়োজন। অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথি অধ্যাপক সাধন রঞ্জন ঘোষ বলেন, ” পৃথিবীতে আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার অন্যতম হাতিয়ার হলো বৃক্ষ। বৃক্ষ আমাদের জীবন ধারনের প্রয়োজনীয় উপাদান অক্সিজেন এবং খাদ্য সরবরাহ করে। বৃক্ষের দিকে তাকিয়ে আমরা জীবনের মর্মার্থ উপলব্ধি করতে পারি। ” এই অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করায় তিনি সরকার এবং বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রকে সাধুবাদ জানান এবং এভাবে সম্মিলিত চেষ্টায় বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে সবুজ পৃথিবী গড়ে গ্রীনহাউজসহ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি কাটিয়ে ওঠার আশাবাদও ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেসমিন জামান সবিতা (সভাপতি, নান্দনিক একাডেমি খুলনা),সাইফুল ইসলাম বাবু (সাধারণ সম্পাদক, সাহিত্য সংসদ খুলনা), নুরুন্নাহার হীরা (সভাপতি, সম্মিলিত রাইটার্স ফোরাম), মো. তাকবীরুল গণি (প্রভাষক, বাংলা বিভাগ,খুলনা পাবলিক কলেজ),এস এম বদরুল আলম রয়েল(সভাপতি,নার্সারি মালিক সমিতি খুলনা),সেলিম মাহবুব (সাধারণ সম্পাদক, বিজয় একাত্তর), মাসুম বিল্লাহ (সংগঠক,বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র খুলনা) প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র খুলনা ইউনিটের লাইব্রেরী কর্মকর্তা ত্রিদিব কুমার অধিকারী। তিনি শীর্ষ বার্তা প্রতিনিধিকে জানান সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে আলোকিত মানুষ গড়ার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার বিষয়েও বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র সচেষ্ট। পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই এ কর্মসূচির আয়োজন। তিনি আরও জানান এই বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি পুরো বর্ষা মৌসুম জুড়ে চলমান থাকবে। শিক্ষক ছাত্রসহ খুলনার সচেতন নাগরিক সমাজ এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে এগিয়ে আসবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Leave a Comment