কামিল প্রথম বর্ষের ভাইবা’ র সম্ভাবনা ময় পশ্ন এবং উত্তর ?
১. আরবিতে নাম লিখ?
উত্তরঃ- مہدی حسن
২. সহীহ হাদীস কাকে বলে?
উত্তরঃ- যে হাদীস মুত্তাসিল সনদ ( অবিচ্ছিন্ন বর্ণনা সূত্র), রাবি ন্যায়পরায়ণ, নির্ভরযোগ্য ও স্বচ্ছ স্মরণশক্তিসম্পন্ন এবং হাদীসটি শায ও মুয়াল্লাল নয় তাকে সহীহ্ হাদীস বলে।
৩. উপমহাদেশের পাঁচ জন বিখ্যাত মুহাদ্দিসের নাম বলো?
উত্তরঃ-
- শাহ ওয়ালী উল্লাহ দেহললভী রঃ
- শাহ আবদুল আজিজ দেহলভী রঃ
- হোসাইন আহমেদ মাদানি রঃ
- মুফতি আমিনুল ইহসান রঃ
- আল্লামা আজিজুল হক রঃ
৪. রাবী সহকারে একটি মুখস্থ হাদীস বলো?
উত্তরঃ- عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ أَحْفُوا الشَّوَارِبَ وَأَعْفُوا اللِّحَى ” .
৫. হাদীসের স্বর্ণ যুগ বলা হয় কত হিজরীকে?
উত্তরঃ- তৃতীয় হিজরীকে
৬. কামিল প্রথম বর্ষের কয়টি কিতাব ছিলো এবং কিতাবের নাম কি কি?
উত্তরঃ- মূল কিতাব চারটি _
৭. হাদীসে নববী এবং হাদীসে কুদসীর মধ্য পার্থক্য কি?
উত্তরঃ- * যে হাদীসের ভাব আল্লাহর, ভাষা রাসূলের তাকে বলা হয় হাদীসে কুদসি। আর যে হাদীসের ভাব ও ভাষা দুটোই রাসূলের, তাকে বলা হয় হাদীসে নববী। - যে হাদীসে আল্লাহ বলেছেন / আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন ইত্যাদি উল্লেখ রয়েছে তাকে বলা হয় হাদীসে কুদসি। পক্ষান্তরে রাসূল সাঃ এর কথা, কাজ ও মৌনসম্মতিই হাদীসে নববী বলে।
৮. কামিল শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ- অর্থ পুরো, “ত্রুটি এবং ত্রুটিগুলি ছাড়াই, নিখুঁত।
৯. হাদীসের সংকলনের ইতিহাস সংক্ষিপ্ত ভাবে বলো?
উত্তরঃ- সংকলনের ইতিহাস বড় তাই লিখা হলো না, তা-ই কিতাব থেকে পড়ে নিবেন।
১০.কোন সাহাবী সব চেয়ে বেশি হাদীস বর্ণনা করেছেন?
উত্তরঃ- হযরত আবু হোরায়রা রাঃ
১১. করোনা ভাইরাস কোন শহর সর্ব প্রথম দেখা দিয়েছে?
উত্তরঃ- চীনের উহান শহর থেকে
১২. সহীহ্ হাদীস ও জয়ীফ হাদীসের মধ্যে পার্থক্য কি?
১৩. হাদীস কাকে বলে?
উত্তরঃ- রাসূল সাঃ এর কথা, কাজ,অনুমোদন ও মৌনসম্মতিকে হাদীস বলে।
১৪. রাষ্ট্রপতি এবং স্পিকারের নাম কি কি?
উত্তরঃ- মাননীয় রাষ্ট্রপতি এড. আব্দুল হামিদ এবং ড. শিরিন সারমিন চৌধুরী
১৫. সনদ এবং মতন কাকে বলে?
উত্তরঃ- হাদীস বর্ণনার ধারাবাহিকতাকে সনদ বলে।
হাদীসের মূল বক্তব্যকে( অংশ) মতন বলে।
১৬. মুহাদ্দিস কাকে বলে?
উত্তর- যিনি হাদীসশাস্ত্রের পন্ডিত, হাদীস চর্চা করেন, হাদীসের সনদ ও মতন সহ বহু হাদীসের জ্ঞান রাখেন তাঁকে মুহাদ্দিস বলে।
১৭. সিহাহ সিত্তাহ কাকে বলে?
উত্তরঃ- সিহাহা অর্থ বিশুদ্ধ আর সিত্তা অর্থ ছয়। ৬ খানা বিশুদ্ধ হাদীস গ্রন্থকে সিহাহা সিত্তা বলে। ১, সহীহ্ বুখারী ২. সহীহ মুসলিম ৩. জামে তিরমিযী ৪. আবু দাউদ ৫. নাসায়ী ৬. ইবনে মাজাহ
১৮. মুনকাতি হাদীস কাকে বলে?
উত্তরঃ- যে হাদীসের সনদের ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়নি, কোন না কোন স্থানের রাবি বাদ পড়েছে বা উহ্য রয়েছে এ ধরনের হাদীসকে মুনকাতি বলে।
১৯. দেশে সর্ব প্রথম কত তারিখ করোনা ভাইরাস পজিটিভ হয়?
উত্তরঃ- ৮ মার্চ
২০. আবু জাফর আত তহাবীর সংক্ষিপ্ত জীবনী বলো?
উত্তরঃ- শরহু মায়ানিয়িল আসার ওয়া সুনানু ইবনে মাজাহ কিতাব থেকে পড়েনিন।
২১. তোমার প্রিন্সিপাল হুজুরের নাম কি?
উত্তরঃ- তসলিম উদ্দিন
২২. তোমার নামের তাহকীক করো?
উত্তরঃ- নিজের নামের তাহকীক করুন
২৩. কুরআন এবং হাদীসের মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ-
১. ওহিয়ে মাতলু, ২. ওহিয়ে গাইরে মাতলু।১. ওহিয়ে মাতলু : এমন ওহি যার শব্দ, বাক্য অর্থ, মর্ম সবকিছুই আল্লাহর তরফ থেকে আগত। পরিভাষায় এটি আল-কুরআনুল কারিম নামে পরিচিত।২. ওহিয়ে গাইরে মাতলু : এমন ওহি যার অর্থ ও মর্ম আল্লাহ প্রেরিত কিন্তু শব্দ ও বাক্য রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের। ইসলামের পরিভাষায় যা ওহিয়ে হাদিস ও সুন্নাহ নামে পরিচিত। পার্থক্যঃ- ০১. অক্ষরে অক্ষরে কুরআনের ভাষা এবং বক্তব্য দুটোই আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিল হয়েছে। পক্ষান্তরে হাদিসের বক্তব্য বা বিষয়বস্তুই কেবল আল্লাহর পক্ষ থেকে লাভ করেছেন, আর ভাষা দিয়েছেন রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে।২. কুরআন কেবলমাত্র জিবরিল আমিনের মাধ্যমে নাযিল হয়েছে। অথচ হাদিস ইলহাম এবং স্বপ্নযোগে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লাভ করেছেন।০৩. কুরআন লওহে মাহফুয বা সুরক্ষিত ফলকে সংরক্ষিত। সেখান থেকেই নাজিল হয়েছে। কিন্তু হাদিস লওহে মাহফুযে সংরক্ষিত নয়। ইত্যাদি
২৪. কামিল পাস করে কি করবে এবং তোমার জীবনের লক্ষ কি ?
উত্তরঃ- ব্যক্তিগত উত্তর
২৫. মাক্কী ও মাদানি সূরার পার্থক্য কি?
উত্তরঃ- মাক্কীঃ- সাধারণত সূরা আয়াতগুলো ছোট ছোট ও ছন্দময়।
তাওহীদ, রিসালাত ও আখেরাত সংক্রান্ত আলোচনা।
মাক্কি সূরা ব্যক্তিগঠনে হেদায়েতপূর্ণ। ইত্যাদি
মাদানিঃ- সাধারণত সূরা ও আয়াতগুলো বড় ও গদ্যময়।
মুনাফিক ও কাফিরদের সাথে আচরণ সংক্রান্ত আলোচনা।
জাকাত ও ওশরের নিয়ম-কানুন আলোচনা। ইত্যাদি
২৬. সর্বশেষ নাজিল কৃত সূরার নাম কি?
উত্তরঃ- সূরা নাছর
২৭. সূরা তাওবার শুরুতে বিসমিল্লাহ নেই কেন?
উত্তরঃ- তৎকালীন আরবদের নিয়ম ছিল, কেউ কোন পক্ষের সাথে চুক্তি অবসান করার হলে পত্র লিখে জানাত, এবং সেই পত্রের শুরুতে বিসমিল্লাহ লেখা হত না।। এজন্য আল্লাহ-ও এই সূরার শুরুতে বিসমিল্লাহ নাযিল করেন নি।
২. ঈমাম নাসাঈ (রহঃ) নিজ সনদে হযরত উসমান (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, সূরা আনফাল (৮ম সূরা) মদিনায় অবতীর্ণ প্রথম দিকের সূরা আর সূরা তাওবা মদিনার শেষ দিকে অবতীর্ণ সূরা।। ইন্তেকালের পূর্বে রাসূলুল্লাহ (সঃ) স্পষ্ট বলেন নি সূরা তাওবা সূরা আনফালের অংশ কিনা। এজন্য উভয়ের মাঝে বিসমিল্লাহ লেখা হয় নি।। ইত্যাদি
২৮. তোমার এসাইনমেন্ট জমা দিয়েছো?
উত্তরঃ- জমা দিলে হ্যাঁ আর না দিলে যা বলেন। ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
লেখকঃ এস এম মেহেদী হাসান
প্রথম বর্ষের ছাত্র,
হামিদিয়া কামিল মাদ্রাসা, ডামুড্যা শরীয়তপুর