পরোপকার মানুষকে মর্যাদার আসনে সমাসীন করে

আ. স. ম আল-আমীন

পরোপকার মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ অলংকার। পরোপকার না থাকলে সমাজের সুন্দর পরিবেশ থাকে না। সমাজে একের পর এক অন্যায়, অত্যাচার, বৃদ্ধি পেতে থাকে। এর ফলে যেভাবে সামাজিক বিশৃঙ্খলা ভয়াবহ আকার ধারণ করে, তেমনি বৃদ্ধি পেতে থাকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এ বিষয়ে দয়ার প্রতিচ্ছবি বিশ্বনবীর ঘোষণা হলো, ‘তোমরা বিশ্ববাসীর প্রতি সদয় হও, তাহলে আসমানের মালিক তোমাদের প্রতি সদয় হবেন। ’ (তিরমিজি শরিফ, হাদিস : ১৮৪৭)
আর মানবতার বন্ধু ছিলেন হযরত মোহাম্মদ( সঃ)। যিনি সবমসময় মানুষের কল্যানে ঝাপিয়ে পড়তেন।
তিনি এগুলা উদাহরণ স্বরুপ রেখে গেছেন উম্মতের জন্য। আজ পৃথিবীতে হারায় সম্মানের আসনে আসীন হয়েছে, প্রত্যেকে কোন না কোন ভালো কাজ করেছেন। পরের উপকারের মাধ্যমে বৃদ্ধি পায় একে অপরের প্রতি ভালোবাসা। সৃষ্টি হয় সহমর্মিতা ঘনিষ্ঠ হয় বন্ধুত্ব। দূর হয় শত্রুতা। পরোপকার করার জন্য ধন – সম্পদ লাগে একথা একেবারেই ভূল। শুধু মানুষের ইচ্ছাই যথেষ্ট, প্রত্যেক মানুষই তার নিজ নিজ অবস্থান থেকে পরোপকারী হতে পারে।  আসলে পরোপকার নির্দিষ্ট কোনো সীমারেখায় আবদ্ধ নয়। পরোপকার অনেক ধরনের। পরোপকার করা যেতে পারে ধর্মীয়, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ব্যাপারেও। শারীরিক, আর্থিক ও মানসিক কর্মকাণ্ডেও অন্যকে সহযোগিতা করা যেতে পারে। সমাজে নানা রকমের মানুষের বসবাস। আমাদের চারপাশে রয়েছে নানা পর্যায়ের মানুষ, তাদের জীবনে রয়েছে নানা সমস্যা। তাদের সেই সমস্যা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়াও পরোপকার।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেন আমাদের সবাই কে মানুষের উপকার করার তৌফিক দান করে।

লেখক, শিক্ষার্থী, জামিয়া কোরানিয়া আরাবিয়া লালবাগ, ঢাকা

Leave a Comment