শুক্রবার মারা গেলে কি কবরের আজাব মাফ? | দীদার মাহদী


শুক্রবারে মৃত্যু বরণ করলে কিয়ামত পর্যন্ত কবরের আযাব কি বন্ধ থাকে?

 

আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত একটি কথা হলো, শুক্রবারে মৃত্যু বরণ করলে তার কবরের আজাব মাফ ৷ কুরআন সুন্নাহর আলোকে কথাটার সত্যতা জানা দরকার ৷ যৌক্তিক পর্যালোচনাও দরকার ৷ লোকেরা মনে করে জুমুআর দিনে মৃত্যু বরণ করলেই কেল্লা ফতেহ। তার কবরের আযাব মাফ হয়ে যাবে। একারণেই যেকোনো ফাসেক-ফাজের, সুদখোর, ঘুষখোর মোটকথা যত বড় অপরাধীই হোক না কেন, শুক্রবার দিনে অথবা রাতে মৃত্যু বরণ করলে সাধারণ মানুষ দৃঢ়তার সাথে বিশ্বাস করে যে, মৃত ব্যক্তির কবরে কোনো-ই আযাব হবে না; এমনকি কিয়ামত পর্যন্ত না। এর ব্যতিক্রম হতে পারে এমনটি কেউ ধারণাই করে না।

আরো পড়ুন – শেফায়ে কামেলা আজেলা অর্থ কি?

কিন্তু বাস্তবেই কি তাই? বাস্তবেই কি জুমুআর দিনে অথবা রাতে মৃত্যু বরণ করলে কবরের আযাব মাফ হয়ে যায়? আমরা এর উত্তর জানবো ৷ এ কথার সমর্থনে যে হাদীসগুলো পাওয়া যায়, আগে তা দেখে নিই ৷

এক. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা. সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَمُوتُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ أَوْ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ إِلَّا وَقَاهُ اللهُ فِتْنَةَ الْقَبْرِ
‘‘যেকোনো মুসলমান জুমুআর দিনে অথবা রাতে মৃত্যু বরণ করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে কবরের ফিৎনা থেকে বাঁচিয়ে রাখবেন।’’-মুসনাদে আহমদ: 11/147; তিরমিযি, হাদিস 1074 ৷
ইমাম তিরমিযি রহ. বলেন-
হাদিসটি গরিব। এটি এমন একটি হাদিস যার সনদ মুত্তাসিল নয়। রাবিয়া ইবনে সাইফ (সরাসরি) আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা. থেকে শুনেছেন বলে আমাদের জানা নেই।

দুই. হযরত আনাস রা. এর হাদিস:
হাদিসটি মুসনাদে আবু ইয়া‘লাতে নিম্নোক্ত সনদে বর্ণিত হয়েছে:
حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ وَاقِدِ بْنِ سَلامَةَ، عَنْ يَزِيدَ الرَّقَاشِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ: ” مَنْ مَاتَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وُقِيَ عَذَابَ الْقَبْرِ ”
সনদের রাবি ‘ওয়াকিদ ইবনে সালামাহ’ এবং ‘ইয়াযিদ আর রাকাশি’ দু’জনই দুর্বল রাবী।

তিন.
হযরত জাবির রা. এর হাদিস:
হাদিসটি ‘হিলইয়াতুল আউলিয়া’ গ্রন্থে 3/155 নিম্নোক্ত সনদে বর্ণিত হয়েছে।
حدثنا عبد الرحمن بن العباس الوراق ثنا أحمد بن داود السجستاني ثنا الحسن بن سوار أبو العلاء ثنا عمر بن موسى بن الوجيه عن محمد بن المنكدر عن جابر قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم من مات يوم الجمعة أو ليلة الجمعة  أجير من عذاب القبر وجاء يوم القيامة عليه طابع الشهداء
হাদিসের সনদে উমর ইবনে মুসা নামক রাবী, হাদিস জাল করার অভিযোগে অভিযুক্ত। বিস্তারিত দেখুন, লিসানুল মিযান: 6/148

আরো পড়ুন – নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত 

তিনটি সমার্থক হাদীস থাকলেও প্রথম হাদীসটিই উক্ত কথার সমর্থনে দলীল হিসেবে উপস্থাপন করা হয় ৷ কিন্তু হাদীসের সহীহ হবার ব্যাপারে মুহাদ্দীসীনে কিরামদের মাঝে মতানৈক্য বিদ্যমান ৷ কেউ সহীহ বলেছেন ৷ কেউ বলেছেন সহীহ নয় ৷

তাহলে বিষয়টি সমাধান কীভাবে হবে? যেসকল মুহাদ্দিস হাদিসটিকে হাসান কিংবা সহিহ মনে করেন, তাদের মতানুযায়ী কি একথা বলবো, হাদিসটি যেহেতু সহিহ, সুতরাং একথা প্রমাণিত হয়ে গেল যে, শুক্রবারে মৃত্যু বরণ করলে কবরের আযাব মাফ হয়ে যাবে। নাকি যে সকল মুহাদ্দিস উক্ত হাদিসটিকে সহিহ এবং গ্রহণযোগ্য মনে করেন না তাদের কথানুযায়ী বলবো যে হাদিসটি গ্রহণযোগ্য নয়; সুতরাং শুক্রবারে মৃত্যু বরণ করলে কবরের আযাব মাফ হয়ে যায়, এমন কথা ভিত্তিহীন? একটা সমাধানে তো আসতে হবে ৷

এবিষয়ে সমাধানে পৌঁছার জন্য কয়েকটি বিষয় জানা প্রয়োজন:
ক.
কবরের আযাব সত্য। কুরআন ও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।
আল্লাহ তাআলা ফেরাউনের সম্প্রদায় সম্পর্কে বলেন—‘তাদের সকাল-সন্ধ্যা জাহান্নামের সামনে উপস্থিত করা হয়। যেদিন কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে, সেদিন বলা হবে, তোমরা ফেরাউনের সম্প্রদায়কে কঠিন শাস্তির মধ্যে ঢুকিয়ে দাও।’ (সুরা : মুমিন (গাফির), আয়াত : ৪৬)

অন্য আয়াতে এসেছে, ‘অচিরেই আমি (আল্লাহ) তাদের দুইবার আজাব দেব। তারপর তাদের নিয়ে যাওয়া হবে ভয়াবহ আজাবের দিকে।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ১০১)

এক হাদিস থেকে কবরের আজাব সম্পর্কে জানা যায়, হাদিস শরিফে এসেছে, ‘কাফের ও মুনাফেককে যখন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ব্যাপারে বলা হবে যে এই ব্যক্তি সম্পর্কে তুমি কী জানো? সে বলবে, আমি জানি না। লোকজন যা বলে থাকে, আমিও তা-ই বলতাম। তখন তাকে বলা হবে, তুমি উপলব্ধি করোনি, পাঠও করোনি। এরপর তাকে লোহার হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হয়। তখন সে বিকট শব্দে চিৎকার করবে, যা মানব-দানব ছাড়া আশপাশের সব কিছু শুনতে পাবে।’ (বুখারি, হাদিস : ১৩৩৮

মহানবী (সা.) আরো ইরশাদ করেছেন, ‘যদি এই ভয় না থাকত যে তোমরা মৃতকে দাফন করবে না, তাহলে আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করতাম, যাতে তিনি কবরের যে আজাব আমি শুনতে পাই, তা যেন তোমাদের শুনিয়ে দেন।’ (মুসলিম, হাদিস : ৭৩৯২)

মহানবী (সা.) প্রায়ই এ দোয়া করতেন—‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে কবরের আজাব থেকে আশ্রয় চাই।’ (বুখারি, হাদিস : ২৮২২)

এই আযাব থেকে মুক্তির প্রথম শর্ত ঈমান। দ্বিতীয় শর্ত ঈমানের দাবি অনুযায়ী জীবন যাপন, বিশেষত যেসব গুনাহর কারণে কবরে আযাবের কথা বর্ণিত হয়েছে তা থেকে সর্বোতভাবে বেঁচে থাকা এবং যেসব আমলের দ্বারা কবরের আযাব থেকে মুক্তির প্রতিশ্রুতি বর্ণিত হয়েছে সেসব আমল গুরুত্বসহকারে করা। আর কবর ও আখিরাতকে সর্বোচ্চ সুন্দর বানানোর চেষ্টায় সর্বদা নিয়োজিত থাকা উচিত।
খ.
আল্লাহ তাআলা পরকালে নাজাত এবং শাস্তি থেকে মুক্তির বিষয়টি আমলের সাথে সম্পৃক্ত করেছেন। বিশেষ কোনো দিনে বা রাতে মৃত্যুর সাথে সম্পৃক্ত করেন নি। তাছাড়া এটি একটি গায়রে এখতিয়ারি ফে‘ল। মৃত্যু ব্যক্তির ইচ্ছানুযায়ী হয় না ৷ তাছাড়া এটা অনিচ্ছাকৃত একটি বিষয় ৷ সুতরাং এর সাথে আযাবে কবর মাফ হওয়ার বিষয়টি বাহ্যত অযৌক্তিক।
গ.
যদি বিশেষ কোনো দিনে মৃত্যু বরণ করা ফযিলতপূর্ণ হয়ে থাকে এবং একারণেই আযাবে কবর মাফ হয়ে থাকে তবে সেই দিনটি সোমবার হওয়াই বেশি যুক্তিসংগত। কেননা সোমবার এমন একটি দিন, সহিহ হাদিসের আলোকে যে দিন আল্লাহ তাআলা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন, যেদিন জান্নাতের দরজাসমূহ খোলে দেওয়া হয়।
সহিহ মুসলিমে (2566) হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সোমবার এবং বৃহস্পতিবারে জান্নাতে দরজাসমূহ খোলে দেওয়া হয়, অত:পর মুশরিক ব্যতীত সকল বান্দাকেই ক্ষমা করে দেওয়া হয়। তবে ঐ ব্যক্তিকে ক্ষমা করা হয় না যার অপর ভাইয়ের সাথে বিদ্বেষ রয়েছে…

এই সোমবার এমন একটি দিন যেদিন আমাদের নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মৃত্যুবরণ করেছেন। আল্লাহর রাসুলের সাহাবিগণও সোমবারে মৃত্যুর কামনা করতেন। কিন্তু আমরা একটি হাদিস কিংবা আছারেও একথা পাই নি যে আল্লাহর রাসুলের একজন সাহাবিও শুক্রবারে মৃত্যুর কামনা করেছেন; অথচ ঐসকল সাহাবায়ে সব সময় আল্লাহর ভয়ে কম্পমান থাকতেন এবং জাহান্নাম এবং কবরের শাস্তি থেকে কীভাবে মুক্তি পাওয়া যায় সেই চিন্তায় বিভোর থাকতেন। যদি এতো সহজে আযাবে-কবর থেকে মুক্তি পাওয়া যেত, তাহলে সেই কামনা তারা করতেন। কিন্তু কেউ-ই শুক্রবারে মৃত্যুর কামনা করেন নি। বরং এর বিপরিত আমরা দেখি আল্লাহর রাসুলের সবচেয়ে প্রিয় সাহাবি হযরত আবু বকর রা. আল্লাহর রাসুলের মৃত্যুর দিন অর্থাৎ সোমবারে মৃত্যুর কামনা করেছেন। হয়েছেও তাই। দেখুন, সহিহ বুখারি, হাদিস 3/252
ঘ.
ইমাম তাহাবি রহ. জুমুআর দিনে মৃত্যু বরণের ফযিলত-সংক্রান্ত হাদিসটিকে হযতর আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত হাদিস-
لِلْقَبْرِ ضَغْطَةٌ لَوْ نَجَا مِنْهَا أَحَدٌ، لَنَجَا مِنْهَا سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ
‘‘কবরের একটি চাপ রয়েছে। কারো পক্ষে যদি সেই চাপ থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব হতো, তাহলে অবশ্যই সা‘দ ইবেন মুআয সেই চাঁপ থেকে বাঁচতেন’’
এই হাদিসের বিরোধী মনে করেন। আর এই হাদিসের কারণেই তিনি জুমুআর ফযিলত-সংক্রান্ত হাদিসকে সহিহ মনে করেন না।

‘যাগতা’ হচ্ছে-কবরের দু’পাশ মৃত ব্যক্তির শরিরের সাথে মিলে যাওয়া।

হযরত সা‘দ ইবনে মুআযের আযাবের কারণ কি? এসম্পর্কে হাকিম তিরমিযি রহ. বলেন, প্রত্যেকের কিছু-না কিছু গোনাহ তো আছেই। তাই কবরের এই ‘যাগতা’ তথা চাপের মাধ্যমে সেই অপরাধ মাফ হয়। এটি হবে অপরাধের প্রতিদান হিসেবে। ঠিক তেমনিভাবেই হযরত সা‘দ ইবনে মুআযেরও কবরের চাপ হয়েছে, প্রশ্রাব থেকে বেঁচে থাকার মধ্যে ত্রুটির কারণে। দেখুন, শরহুস সুয়ুতী আলান নাসায়ী, বাব, যাম্মাতুল কাবরি ওয়া আযাবুহু

লক্ষ্য করুন, সা‘দ ইবনে মুআযের মতো সাহাবি, সুনানে নাসায়ি (2055) এর বর্ণনা অনুযায়ী যার মৃত্যুতে আরশ কেঁপেছে, আসমানের দরজাসমূহ খোলে দেওয়া হয়েছে, সত্তর হাজার ফেরেশতা যার জানাযায় শরিক হয়েছেন; সহিহ ইবনে হিব্বানের বর্ণনা অনুযায়ী (3112) যার সম্পর্কে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- কারো পক্ষে যদি কবরের চাপ থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব হতো, তাহলে অবশ্যই সা‘দ ইবেন মুআয তা থেকে বাঁচতেন; এমন সাহাবিও যখন কবরের আযাব থেকে মুক্তি থেকে পান নি; সুতরাং যে লোকটি সারাটি জীবন সুদ, ঘুষ, চুরি, ডাকাতি, এবং নেশার মধ্যে কাটিয়েছে, যেই লোকটি সারাটি জীবন হারামের উপর কাটিয়েছে; শুধু একটি গায়রে এখতিয়ারি (অনিচ্ছাকৃত) আমল অর্থাৎ শুক্রবারে মৃত্যুর কারণে আযাবে কবর থেকে মুক্তি পেয়ে যাবে, বিষয়টি কি যৌক্তিক মনে হয়?
ঘ.
গোনাহগারের জন্য কবরের আযাবের বিষয়টি কুরআন হাদিসের অকাট্য দলিল দ্বারা প্রমাণিত। সুতরাং এর বিপরিত কারো জন্য যদি আযাবে কবর মাফ হওয়ার দাবী করতে হয় তাহলে এর স্বপক্ষে অকাট্য দলিল থাকতে হবে। এসম্পর্কে মোল্লা আলী কারী রহ. এর বক্তব্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি ফিকহুল আকবারের ব্যাখ্যা গ্রন্থে আবু মুয়িনের রমযান এবং শুক্রবারে কবরের আযাব মাফ সংক্রান্ত আলোচনাটি উল্লেখ করে বলেন-
এটা সুস্পষ্ট বিষয় যে আকিদার ব্যাপারে গ্রহণযোগ্য হল, ইয়াকিনি তথা সুনিশ্চিত দলিল। ‘হাদিসে আহাদ’ (যে হাদিসটি মুতাওয়াতির পর্যায় পৌঁছায়নি) যদি প্রমাণিত হয় তবে তা জন্নি তথা সুনিশ্চিত দলিল নয়। তবে হাদিসটি যদি একাধিক সনদের কারনে মুতাওতিরে মানবি (এমন দলিল যা এত সুত্রে বর্ণিত হয়েছে যে যাকে যৌক্তির নিরিখে মিথ্যা বলা অসম্ভব হয়) হয় তখন সেটা কাতয়ী (সুদৃঢ় দলিল) হয়ে যাবে। ( মিনাহুর রওদিল আযহার ফি শরহে ফিকহুল আকবার-২৯৫-২৯৬)

উপরর্যুক্ত দীর্ঘ অালোচনার ভিত্তিতে বলতে চাই, শুক্রবারে মৃত্যু বরণ করলে কিয়ামত পর্যন্ত কবরের অাযাব মাফ হয়ে যাবে (যেমনটি লোকমুখে প্রসিদ্ধ) একথা বলার কোনো সুযোগ নেই।

হ্যাঁ, শুক্রবারে মৃত্যু বরণের ফযিলত সংক্রান্ত হাদিসটি কে হাসান ধরে নিলে শুধু এতটুকু বলা যেতে পারে যে, শুক্রবারে মৃত্যু হলে শুধু ঐ দিন কবরে আযাব হবে না। (ঐ দিনের বিশেষ ফযিলতের কারণে) কিন্তু এই হাদিসের কোথাও একথা তো বলা হয় নি যে, শুক্রবারে মৃত্যু বরণ করলে কিয়ামত পর্যন্ত আযাব মাফ হয়ে যায়! অার অাযাবে কবরের অকাট্য দলিলগুলোর অালোকে একথা বলার সুযোগও নেই। উপরে শেষ দিকে উল্লিখিত লক্ষনীয় বিষয়গুলো মনোযোগ সহকারে পড়লে বিষয়টি অাপনার কাছেও সুস্পষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা।

মুল্লা আলী কারী রহ. তাঁর ‘মিনাহুর রওদিল আযহার ফি শরহে ফিকহুল আকবার  (পৃ. ২৯৫-২৯৬) এ একথাটিই বলেছেন। তিনি বলেন-
ثبت في الجملة ان من مات يوم الجمعة او ليلة الجمعة يرفع العذاب عنه الا أنه لا يعود اليه الي يوم القيامة فلا اعرف له اصلا
‘‘জুমার দিনে বা জুমার রাতে যে মারা যাবে তার থেকে কবরের আজাব উঠিয়ে নেওয়া হবে, এটা মোটামুটি প্রমাণিত। তবে কিয়ামত পর্যন্ত আর (আজাব) ফিরে আসবে না একথার কোন ভিত্তি আমার জানা নেই।’’

আল্লাহ তাআলা আমাকে আপনাকে সবাইকে কবরের আযাব থেকে মুক্তি দান করুন ৷

লেখকঃ
দীদার মাহদী
ভাইস প্রিন্সিপ্যাল
দারুলহুদা মডেল মাদরাসা
কোদালপুর, গোসাইরহাট, শরীয়তপুর ৷

Leave a Comment