শরীর বন্ধ করার নিয়ম। ঘর বন্ধ করার আমল মাওলানা শরিফ আহমাদ

শরীর বন্ধ করার নিয়ম । ঘর বন্ধ করার আমল

 

প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোন । আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ । আশা করি সকলে ভালো আছেন । আপনারা যেন আরো ভালো থাকতে পারেন এ জন্য আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো শরীর বন্ধ করার নিয়ম ৷ ঘর বন্ধ করার আমল । শরীর ও ঘর বন্ধ হলেই বন নজর ,যাদু-টোনা থেকে হেফাজতে থাকতে পারবেন । তো আর কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করি আলোচনা । পুরো লেখাটি পড়ুন ।

 

শরীর বন্ধ কি ?

 

বদনজর ,জাদুটোনা থেকে বাঁচতে নির্দিষ্ট কিছু বাক্য পড়ে শরীরে ফুঁক দেওয়াকে শরীর বন্ধ বলা হয় ।

 

শরীর বন্ধ করার নিয়ম

 

শরীর বন্ধ করার অনেকগুলো নিয়ম আছে । তারমধ্যে তিনটি নিয়ম উল্লেখ করছি ।

  • প্রথম নিয়ম: দৈনিক ফজর ও মাগরিবের নামাজের পরে তিনবার সূরা ইখলাস, তিনবার সূরা ফালাক, তিনবার সূরা নাস পড়ে শরীরে ফুঁ দিলে শরীর বন্ধ হয়ে যাবে । এবং সমস্ত বিপদ আপদ থেকে বাঁচা যাবে । (আবু দাউদ শরীফ,সুনানে নাসাঈ, মেশকাত: ৯৬৯ )

ঘুমানোর পূর্বেও তিনবার সূরা ইখলাস, তিনবার সূরা ফালাক, তিনবার সূরা নাস পড়ে হাতে ফুঁ দিয়ে শরীর মুছে দিলে শরীর বন্ধ হয়ে যাবে ।

কেননা প্রতি রাত্রে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শয্যা গ্রহণকালে সূরা ইখলাস ,সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ করে দু হাত একত্রিত করে হাতে ফুঁ দিয়ে সমস্ত শরীরে হাত বুলাতেন । মাথা ও মুখ থেকে শুরু করে তার দেহের সম্মুখভাগের উপর হাত বুলাতেন । এবং তিনবার এরূপ করতেন । (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫০১৭ ইফা: ৪৬৫২)

 

সুরা ইখলাস আরবী

بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ

قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ – اللَّهُ الصَّمَدُ – لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ – وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ.

সূরা ইখলাস উচ্চারণ:

কুলহু আল্লাহু আহাদ । আল্লাহুস সমাদ । লাম ইয়ালিদ ওয়া লামউলাদ । ওয়া ইয়া কুল্লাহু কুফু ওয়ান আহাদ ।

 

সুরা ফালাক আরবী

بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ

قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ – مِن شَرِّ مَا خَلَقَ – وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ – وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ – وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ

 

সুরা ফালাক উচ্চারণ:

কুল আউযু বিরব্বিল ফালাক । মিন শাররি মা খলাক । ওয়া মিন শাররি গসিকীন ইযা ওয়াকাব । ওয়া মিন শাররিন নাফফা ছাতি ফিল উকদ । ওয়া মিন শাররি হা সিদিন ইযা হাসাদ ।

 

সুরা নাস আরবী

 

بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ

قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ – مَلِكِ النَّاسِ – إِلَهِ النَّاسِ – مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ – الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ – مِنَ الْجِنَّةِ وَ النَّاسِ.

 

সুরা নাস বাংলা উচ্চারণ:

কুল আউযু বিরব্বিন নাস ‌। মালিকিন নাস । ইলাহিন নাস । মিন শাররিল ওয়াস ওয়াসিল খন্নাস । আল্লাযী ইউওসয়িসু ফি সুদুরিন নাস । মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্নাস ।

 

 

  • দ্বিতীয় নিয়ম: প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ করা ।

হযরত হাসান ইবনে আলী রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু বলেন । নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে সে পরবর্তী নামাজ পর্যন্ত আল্লাহর জিম্মায় থাকবে । (তাবারানী কাবীর )

আয়াতুল কুরসীর ফজিলত সংক্রান্ত অসংখ্য হাদীস রয়েছে । সেগুলো লাভ করতে হলে এবং বিপদ আপদ থেকে বাঁচতে হলে সকাল-সন্ধ্যায় নিয়মিত আয়াতুল কুরসী পড়তে হবে ।

শরীর বন্ধ করার নিয়ম। ঘর বন্ধ করার আমল মাওলানা শরিফ আহমাদ
শরীর বন্ধ করার নিয়ম। ঘর বন্ধ করার আমল

 

আয়াতুল কুরসী

 

اَللّٰہُ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَ ۚ اَلۡحَیُّ الۡقَیُّوۡمُ ۬ۚ لَا تَاۡخُذُہٗ سِنَۃٌ وَّلَا نَوۡمٌ ؕ لَہٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَمَا فِی الۡاَرۡضِ ؕ مَنۡ ذَا الَّذِیۡ یَشۡفَعُ عِنۡدَہٗۤ اِلَّا بِاِذۡنِہٖ ؕ یَعۡلَمُ مَا بَیۡنَ اَیۡدِیۡہِمۡ وَمَا خَلۡفَہُمۡ ۚ وَلَا یُحِیۡطُوۡنَ بِشَیۡءٍ مِّنۡ عِلۡمِہٖۤ اِلَّا بِمَا شَآءَ ۚ وَسِعَ کُرۡسِیُّہُ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضَ ۚ وَلَا یَـُٔوۡدُہٗ حِفۡظُہُمَا ۚ وَہُوَ الۡعَلِیُّ الۡعَظِیۡمُ (আল বাকারা – ২৫৫)

 

আয়াতুল কুরসী উচ্চারণ:

আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া ,আল হাইয়্যুল কাইয়্যুম,লা তা খুযুহু সিনাতুও ওয়ালা নাওম ,লাহু মা ফিস সামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদি, মান যাল্লাযী ইয়াশফাউ ইন্দাহু ইল্লা বিইযনিহী ,ইয়া লামু মা বাইনা আইদিহীম ওয়ামা খলফাহুম ,ওয়ালা ইউহিতুনা বিশাইইম মিন ইলমিহী ইল্লা বিমা শাহায়া ,ওয়াসি আ কুরসিয়্যুহুস সামা ওয়াতি ওয়াল আরদা,ওয়ালা ইয়াউদুহু হিফজুহুমা ওয়া হুয়াল আলিয়্যুল আজীম ।

 

  • তৃতীয় নিয়ম : প্রত্যেক ফরয নামাযের পর একবার সূরা ইখলাস, একবার সূরা ফালাক এবং একবার সূরা নাস পাঠ করা । এ সম্পর্কে দুটি হাদীস ।

১ নং হাদীস

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মে ব্যাক্তি সকাল সন্ধ্যা সূরা ইখলাছ ও এই দুই সূরা (সূরা ফালাক ও নাস )পড়বে সে সব বিপদ আপদ থেকে নিরাপদ থাকবে । (জামে তিরমিজি)

 

২ নং হাদীস

ফজর ও মাগরিব‌ এই দুই ওয়াক্তের ফরজ নামাজের পর সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস প্রতিটি তিনবার করে পড়া সুন্নাত । অন্যান্য ফরজ নামাজ আদায় করে একবার করে এই তিন সূরা পড়ার কথা বলা হয়েছে । (আবু দাউদ)

 

আরও পড়ুনঃ ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম

 

বাচ্চাদের শরীর বন্ধ করার দোয়া

 

আমর ইবনে শুআইব তাঁর পিতা ও তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে,রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,তোমাদের কেউ যখন ঘুম অবস্থায় ঘাবড়িয়ে উঠে, সে যেন  أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ দো’আটি পাঠ করে।

আব্দুল্লাহ ইবনে আমর তাঁর উপযুক্ত সন্তানদের তা শিক্ষা দিতেন এবং ছোটদের গলায় তা লিখে লটকিয়ে দিতেন। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৮৯৫}

বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই দোয়াটি নিয়মিত পাঠ করে বাচ্চাদের ফুঁক দিলে তাদের শরীর বন্ধ হয়ে যাবে এবং বদ নজর থেকে বাঁচা যাবে । অথবা দোয়াটি লিখে সন্তানের গলায় ঝুলিয়ে দিলে বদনজর থেকে সহজে বেঁচে যাবে ইনশাআল্লাহ।

 

বদ নজর থেকে বাঁচার দোয়া:

 

ছোট বড় ,নারী-পুরুষ সকলে বদ নজর থেকে বাঁচার জন্য নিম্নলিখিত তিনটি দোয়ার যেকোনো একটি অথবা সবগুলো নিয়মিত পরে শরীরে ফুঁক দিলে বদ নজর থেকে রেহাই পাওয়া যাবে । এগুলো হাদীসে বর্ণিত গুরুত্বপূর্ণ আমল ।

১ নং দোয়া

اعيزكم بكلمات الله التامه .من كل شيطان وهامة. ومن كل عين لامة

বাংলা উচ্চারণ: উইযুকুম বিকালিমা- তিল্লা-হিত্তাম্মাতি ,মিন কুল্লি শাইত-নিন ওয়াহাম্মাহ , ওয়া মিন কুল্লি আইনিন,লাম্মাহ ।

( সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩১৯১)

২ নং দোয়া

بسم الله ارقيك من كل شيء يؤذيك من شر كل نفس او عين حاسد الله يشفيك بسم الله ارقيك

বাংলা উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি আরকিকা মিন কুল্লি শাইয়িই ইউযিকা । মিন শাররি কুল্লি নাফসিন আও আইনি হাসিদ । আল্লাহু ইয়াশফিক । বিসমিল্লাহি আরকিকা । ( মুসলিম ও তিরমিযী )

৩ নং দোয়া

باسم الله يبريك.و من كل داء يسفيك. ومن شر حاسد إذا حسد. وشر كل ذي عين .

বাংলা উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি ইউবরিকা, ওয়া মিন কুল্লি দাইন ইয়াশফিকা , ওয়া মিন শাররি হাসি দিন ইজা হাসাদ , ওয়া শাররি কুল্লি যি আইন ।

( মুসলিম , মুসনাদে আহমদ )

 

এটিও দেখুনঃ দোয়া কুনুত

ঘর বন্ধ করার আমল

 

ঘর বন্ধ করার জন্য দুটি আমল।

  • প্রথম আমলটি হলো প্রত্যেক রাতে সুরা বাকারার শেষ তিনটি/ দুটি আয়াত পাঠ করা ।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি রাতে সূরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত পড়বে, ঐ ব্যক্তির জন্য তা যথেষ্ট হয়ে যাবে। (অর্থাৎ জিনের ক্ষতি, মানুষের ক্ষতি, সকল পেরেশানি ও মুছিবত থেকে হেফাজতের জন্য যথেষ্ট হবে। কারো কারো মতে রাতের সকল ওজিফার জন্য যথেষ্ট হবে)

(সহীহ বুখারী, হাদীস: ৪০০৮, সহীহ মুসলিম, হাদীস: ১৮৭৮)

সূরা বাক্বারার শেষ তিন আয়াত

 

لِلّٰهِ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَمَا فِی الْاَرْضِ ؕ وَ اِنْ تُبْدُوْا مَا فِیْۤ اَنْفُسِكُمْ اَوْ تُخْفُوْهُ یُحَاسِبْكُمْ بِهِ اللهُ ؕ فَیَغْفِرُ لِمَنْ یَّشَآءُ وَیُعَذِّبُ مَنْ یَّشَآءُ ؕ وَاللهُ عَلٰی كُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرٌ ﴿۲۸۴﴾ اٰمَنَ الرَّسُوْلُ بِمَاۤ اُنْزِلَاِلَیْهِ مِنْ رَّبِّهٖ وَالْمُؤْمِنُوْنَ ؕ كُلٌّ اٰمَنَ بِاللهِ وَمَلٰٓئِکَتِهٖ وَكُتُبِهٖ وَرُسُلِهٖ * لَا نُفَرِّقُ بَیْنَ اَحَدٍ مِّنْ رُّسُلِهٖ * وَقَالُوْا سَمِعْنَا وَ اَطَعْنَا ٭ غُفْرَانَکَ رَبَّنَا وَ اِلَیْکَ الْمَصِیْرُ ﴿۲۸۵﴾ لَا یُکَلِّفُ اللهُ نَفْسًا اِلَّا وُسْعَهَا ؕ لَهَا مَا کَسَبَتْ وَعَلَیْهَا مَا اكْتَسَبَتْ ؕ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَاۤ اِنْ نَّسِیْنَاۤ اَوْ اَخْطَاْنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَیْنَاۤ اِصْرًا کَمَا حَمَلْتَهٗ عَلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَۃَ لَنَا بِهٖ ۚ وَاعْفُ عَنَّا * وَاغْفِرْ لَنَا * وَارْحَمْنَا * اَ نْتَ مَوْلٰىنَا فَانْصُرْنَا عَلَی الْقَوْمِ الْکٰفِرِیْنَ ﴿۲۸۶﴾

 

  • দ্বিতীয় আমল হলো সুরা বাকারার প্রথম ৪ টি আয়াত , আয়াতুল কুরসীর সাথে তারপরের দু আয়াত এবং সুরা বাকারার শেষ দুটি আয়াত পাঠ করা । এগুলো নিয়মিত পাঠ করলে ঘর বন্ধ হয়ে যাবে ।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: কোন ঘরে বা বাড়ির আশপাশে জিন ভূতের উপদ্রব লক্ষ্য করা গেলে সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসী এবং সুরা জিনের প্রথম পাঁচ আয়াত পড়ে পানিতে ফুঁ দিয়ে উক্ত স্থানে ছিটাতে হবে । নিয়মিত এই আমল করলে উক্ত সমস্যা দূর হবে ইনশাআল্লাহ ।

(আমালে কোরআনী, পৃষ্ঠা নং ১১৯ )

 

 

ঘর বন্ধ করার তাবিজ

 

ঘর বন্ধ করার নির্দিষ্ট কোন তাবিজ নেই । এ সম্পর্কে কোনো হাদীসের নির্দেশনাও নেই । তবে বুজুর্গ আলেম ওলামাদের পরামর্শ ও পদ্ধতি অনুযায়ী অনেকে অনেক রকম তাবিজ দিয়ে থাকেন । যার কিছু কার্যকরিতা আছে । কিছু আবার ভন্ডামি । তাই এ ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন করা প্রয়োজন ।

ঘর বন্ধ করার আপনাদের সহজ একটি আমল বলে দিচ্ছি । কোন জীন যদি কারো নিকটবর্তী হয় অথবা কারো শরীরে পাথর নিক্ষেপ করে তবে জীনকে লক্ষ্য করে এ আয়াতটি পাঠ করবেন ।

اِنَّہُمۡ یَکِیۡدُوۡنَ کَیۡدًا وَّاَکِیۡدُ کَیۡدًا ۚۖ  ۙ فَمَہِّلِ الۡکٰفِرِیۡنَ اَمۡہِلۡہُمۡ رُوَیۡدًا ٪

এই আয়াতটি চারটি পেরেকের প্রত্যেকটির উপর ২৫ বার করে পাঠ করে যদি ঘরে চারকোণে পুঁতে রাখা হয় তবে ওই ঘরে কখনো জ্বীন-ভূত প্রবেশ করতে পারবে না । ( আমালে কোরআনী, পৃষ্ঠা নং ১২২ )

ঘর বন্ধ করার সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ নিয়ম কারো জানতে ইচ্ছা হলে কমেন্ট করুন । আলাদা বিস্তারিত কনটেন্ট লেখে দেওয়া হবে। অথবা লেখক বরাবর ই-মেইল করুন ।

 

 

লিখেছেন:

মাওলানা শরিফ আহমাদ

ঢাকা, বাংলাদেশ ।